সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মেসির বিধ্বংসী গোল যেন ভক্তদের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
কাতারের মাটিতে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের মহারণ। কাতারে কাতারে ফুটবলপ্রেমী নিজের পছন্দের দলের হয়ে গলা ফাটাতে জড়ো হয়েছেন সেখানে। আর যাঁরা গ্যালারি থেকে খেলা দেখার সুযোগ পেলেন না, প্রিয় দল আর খেলোয়াড়ের হয়ে নিজের শহরে বসেই সমানে লড়ে যাচ্ছেন।ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা না কি অন্য কোনও দল— এ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি কোন শিবিরে যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু মেসি ভক্তদের উত্তেজনা চরমে। সৌদি আরব আর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মেসির বিধ্বংসী গোল যেন ভক্তদের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নীল-সাদা শিবিরেই এ বছরের বিশ্বকাপ যাবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা। প্রিয় দলকে জেতাতে কেউ কেউ ভরসা রাখছেন ঈশ্বরে। কিন্তু যত দিন আর্জেন্টিনার হাতে কাপ না উঠবে, তত দিন বাবা হবেন না— এমন পণ বোধহয় এর আগে মেসির কোনও অন্ধ ভক্তও করেননি। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া মেসি ভক্তের এই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ব্যক্তি যে আর্জেন্টিনাকে মন থেকে সমর্থন করেন, তা তাঁর জীবন কাহিনি শুনেই বোঝা গিয়েছে। গোটা জীবনটাই তিনি বাজি রেখেছেন মেসির জন্য। ভিডিয়োতে তিনি বলেছেন, ‘‘২০০৬ সাল থেকে আমাদের লড়াই শুরু হয়েছে। সে বার ইচ্ছা করে জার্মানির মাঠে হারিয়ে দিল। তার পর ২০১০ সালেও জার্মানির কাছে আমরা হেরে গেলাম। তার পর আমি কৈশোর থেকে যৌবনে পা দিলাম। সেই সময় আমার একটি সম্পর্ক হয়। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের পর আমাদের বিয়ের কথা ছিল। আমি আমার প্রেমিকাকে বলেছিলাম বিশ্বকাপটা পেলেই তোমাকে বিয়ে করে নেব। কিন্তু সে বারও আর্জেন্টিনা জিতল না। সম্পর্ক ভেঙে গেল। আমার এই ছোট্ট ত্যাগের কথা আর্জেন্টিনা দলের কেউ জানবে না। কিন্তু আমি আজীবন আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করে যাব।’’
মেসির কথা বলতে আবেগে দু’চোখ জলে ভরে আসে ওই যুবকের। কথা মেসির কোনও মতে কান্না গিলে নিয়ে বলেন, ‘‘মেসি ফুটবল নিয়ে বিপ্লব করছেন। আর আমি নিজের জীবনে এই ছোট্ট বিপ্লব করতে পারব না? ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যখন এক গোলে এগিয়ে ছিল, ভেবেছিলাম এ বার মনে হয় আমার বিয়েটা হল। কিন্তু না ভাগ্য আমাকে সে বারও ফিরিয়ে দিল। আমার বিচ্ছেদ হয়েছে এই চার বছর। তার পর কোনও সম্পর্কে আর যাইনি। এ বার যদি কাপ পাই তাহলে বিয়ে করব। আর যদি কাপ না পাওয়া সত্ত্বেও বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়েও দেয়, বিশ্বকাপ না পাওয়া পর্যন্ত আমি তত দিন আমি বাচ্চা নেব না। বিশ্বকাপ পেলে সেটাই আমার সন্তান।’’