চেক লেখার সময় মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম। ছবি: শাটারস্টক।
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা-পয়সা তোলা বা জমা দেওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন না করলে বিপত্তি ঘটা অসম্ভব নয়। শুধু ডিজিটাল লেনদেন বা এটিএম সংক্রান্ত সাবধানতাই নয়, সমস্যা আসে চেকের কোনও ভুল থেকেও। চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে চাইলে সেখানেও কিছু নিয়ম মানতেই হয়। নইলে জালিয়াতির শিকার হতে পারেন আপনিও।
এমনিতেই নিজের এটিএম-এর সিভিভি কোড বা পিন নম্বর কাউকে না জানানো, ঠিক অ্যাকাউন্ট লম্বর লেখা, অনলাইন কেনাকাটার সময় ওটিপি কাউকে না জানানো— এ সব সচেতনতা আমরা অনেকটাই অবলম্বন করি। কিন্তু চেক কাটার সময়ও কি সমান সচেতন থাকেন?
চেক দেওয়ার সময় এই সব সতর্কতা মেনে চললে আর্থিক বিপর্যয় বা কোনও রকম জালিয়াতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। দেখে নিন সে সব।
আরও পড়ুন: একটানা বসে কাজ? হাড়ের সমস্যা এড়াতে মেনে চলুন এ সব
যাঁর নামে চেক কাটছেন তাঁর নাম কেবল স্পষ্ট করে নির্ভুল লিখলেই চলে না। নাম লেখার সময় প্রতিটি অক্ষরের মধ্যে যেন বেশি ফাঁক না থাকে। নইলে কোনও অক্ষরের আগে-পরে অন্য কোনও অক্ষর বসিয়েও জালিয়াতি করা যায়। চেকে টাকার অঙ্ক বসানোর ক্ষেত্রেও নামের মতোই খুব বেশি জায়গা ফাঁকা রাখবেন না। টাকার অঙ্ক লেখা শেষ হলে অবশ্যই ‘/’ চিহ্ন দেবেন। নইলে অতিরিক্ত অঙ্ক বসিয়ে জালিয়াতি হতে পারে। আরবিআই-এর নিয়ম অনুসারে তিন মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। তাই চেকে তারিখ লিখুন মনে করে। নইলে কেউ ইচ্ছা মতো তারিখ বসিয়ে ভাঙিয়ে নেবেন চেক।
আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে কর্নফ্লেক্স খান? সাবধান হোন এখনই
বেয়ারার চেক দিলে অবশ্যই বেয়ারার অপশনে দাগ দিন। পেয়ি হলে যাঁর নামে চেক, তাঁর নাম লিখে পাশে অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখুন বা লম্বা দাগ টেনে দিন। এতে পাশে অন্য কারও নাম বা অন্য কোনও অক্ষর যোগ হয়ে জালিয়াতি করা যাবে না। চেকের উপর লিখে দিতে পারেন এসি পেয়ি। তা হলে যাঁর নামে চেক, তিনিই কেবল ভাঙাতে পারবেন। কোনও কোম্পানির হয়ে চেক দিলে সেই কোম্পানির সিলও দিন চেকে। চেক কোনও কারণে বাতিল হলে তা ছিঁড়ে পেলুন বা তাতে ‘ক্যানসেলড’ কথাটি লিখে দিন।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।