ভেষজ গুণ থাকায় হলুদেই লুকিয়ে নানা সমস্যার সমাধান। ছবি: আইস্টক।
বিয়ের বর-কনেকে গায়ে হলুদে সামিল করার রেওয়াজ নতুন নয়। নানা ধর্মেই এই প্রথা রয়েছে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, হলুদই কেন? কারণ হিসেবে অনেকের মতে, হলুদ ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে, তাই বিবাহবাসরে বর-কনের সাজগোজ যাতে আরও মনকাড়া হয়, তা বজায় রাখতেই হলুদের শরণ। কিন্তু এ তো গেল প্রচলিত ধারণা। ত্বকে হলুদের প্রভাব কিন্তু এটুকুতেই শেষ নয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও হলুদের ভূমিকা অপরিসীম।
রূপবিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিংহ ফ্লোরার মতে, ‘‘হলুদ একে অ্যানটিসেপ্টিক, তার উপর তেলতেলে ত্বকের যত্নে এর প্রভাব বেশ অনেকটাই। ভেষজ গুণ থাকায় নানা ফেসপ্যাকেই হলুদ মেশানো যায়। অনেক রোগের ঘরোয়া সমাধানেও তাই কাজে লাগে হলুদ।’’
শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করা, ফাটা ঠোঁটের পরিচর্যা, ত্বকের দাগছোপ দূর— সবেতেই এই হলুদের ভূমিকা রয়েছে। ত্বক পরিচর্যায় কোন কোন উপকার লুকিয়ে হলুদের মধ্যে জানেন?
আরও পড়ুন: মাত্র পাঁচ মিনিট সময়? সেটুকু এ ভাবে কাজে লাগিয়ে কমান মেদ, সরান অসুখ
একটি পাত্রে ১ চামচ চন্দনের গুঁড়ো, ২ চামচ লেবুর রস, এক চামচ বেসন ও এক চিমটে হলুদ মেশান। ত্বকের তেলা ভাব তুলতে এই প্যাক খুব উপকারী। এ ছাড়া মুসুর ডাল বাটার সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মেশালেও ত্বকের তেলা ভাব সরে গিয়ে ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাক মাখলে সহজেই ত্বক থেকে বাড়তি তেল সরে ব্রণর সমস্যা কমবে অনেকটা। শীতে ফাটা ঠোঁটের হাত থেকে বাঁচতে চিনি, হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ঠোঁটে মেখে পাঁচ মিনিট রাখুন। শীতে নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মিলবে।
আরও পড়ুন: ব্যায়াম, ডায়েট ছাড়াই ঝরবে মেদ! কোন দিকে নজর দিতে হবে জানেন?
চোখের নীচের কালি সরাতে হলুদগুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন অল্প টক দই ও এক-দু’ ফোঁটা মধু। প্রতি দিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণ মাখুন চোখের নীচে। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই সরবে চোখের তলার কালি। কাঁচা হলুদ বাটা ত্বকের কালো দাগের উপর মাখলে দাগ সরে দ্রুত। ভাল ফল পেতে এর সঙ্গে দু’ চামচ দুধ যোগ করুন। প্রতি দিন সকালে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে তা লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে, তেমনই দূরে রাখে অনেক রকমের ত্বকের সমস্যা।