দাড়ি নিয়ে কম পরীক্ষা করেন না বিরাট কোহালিও! ছবি: ইনসটাগ্রাম পেজের সৌজন্যে।
পুজোর মরসুমে সাজসজ্জায় কেবল মেয়েরা নয়, ছেলেরাও আজকাল যথেষ্ট আগ্রহী। পার্লারে ছেলেদের ভিড় দেখলেই তা মালুম হয়। আসলে প্রতিটি মানুষই যে নিজেকে সুন্দর রাখতে চান, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ছেলেদের আগ্রহ ও সুন্দর থাকার ইচ্ছার কথা মাথায় রেখেই নানা নামী সংস্থা তাদের রূপসজ্জার দ্রব্য পুরুষ ও নারী— উভয়ের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করেন।
কয়েক বছর ধরেই একমুখ দাড়ি ছেলেদের ফ্যাশনের অন্যতম হাতিয়ার। বিশেষ করে যাঁরা নিজের লুক নিয়ে মাঝে মধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালান, তাঁরা অনেকেই এই দাড়ি রাখার বিষয়ে বেশ শৌখিন। কখনও বা ভ্যান ডাইক, কখনও রয়্যাল আবার কখনও সার্কল বিয়ার্ডে সেজে ওঠেন তাঁরা। এ ছাড়াও রয়েছে দাড়ির আরও রকমফের। এক মুখ ঘন দাড়ি চেহারা যেমন বদলে দেয়, তেমন ব্যক্তিত্বেও আনে আলাদা ছাপ।
বহু সেলিব্রিটিরও এই দাড়ি রাখার প্রবণতা রয়েছে।তবে দাড়ি কেবল রাখলেই হয় না। তার জন্য প্রয়োজন কিছু যত্ন নেওয়াও। নইলে দাড়ির স্বাস্থ্য যেমন খারাপ হবে, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে শরীরেও নানা সংক্রমণ। জানেন কি, কী ভাবে এই যত্ন নেওয়া সম্ভব? দেখে নিন সে সব নিয়ম।
আরও পড়ুন
পেস্তা নেই ডায়েটে? তা হলে কিন্তু পস্তাবেন
সন্তানকে বিপদে ফেলছেন না তো? এগুলো অবশ্যই নজরে রাখুন
দাড়ি রাখার সাধ থাকলে পকেটে রাখুন আলাদা চিরুণি। বিভিন্ন নামী দোকান বা অনলাইনে সহজেই মেলে দাড়ির জন্য বিশেষ তিরুণি। অনেকেই চুল আঁচড়ানোর চিরুণিতেই দাড়ি আঁচড়ান। চুল ও দাড়ির চরিত্র আলাদা। তাই চিরুণিও আলাদা রাখুন। একই ভাবে চুলের ট্রিমার নয়। দাড়ির ছাঁট ঠিক রাখতে ব্যবহার করুন বিয়ার্ড ট্রিমার। দাড়ির যত্নের জন্য নানা রকম ছোট ট্রিমার পাওয়া যায় বাজারে। তা চার্জ দেওয়াও যায়। যাঁরা রেজার ব্যবহার করেন, তাঁরা তা সব সময় পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখুন। নইলে সংক্রমণের ভয় থাকে। সেলুনে ব্যবহার্য জিনিসের প্রতিও নজর রাখুন।
দূষণমুক্ত রাখুন দাড়ি কাটার সরঞ্জাম। ছবি: শাটারস্টক।
কোনও নতুন স্টাইল করতে চাইলে দাড়ি গজানোর পরেই তাকে ট্রিমিং করবেন না। সময় নিন, একটু বড় হোক দাড়ি, তার পর স্টাইলের সিদ্ধান্ত নিন। কারণ, সব দাড়ির চুলের আকার সমান নয়। তাই ছাঁটে ফেলতে গেলে তাকে আগে একটু বাড়তে দিন, নইলে এবড়োখেবড়ো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। চুল রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাড়িও রং করেন না কি? তা হলে সে স্বভাব বদলান। গোঁফ-দাড়িতে চুল রঙের কেমিক্যাল দিলে তা কোনও ভাবে খাওয়ার সময় পেটে গেলে তা থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। দাড়ির জন্য চিরুনির মতোই মেলে আলাদা শ্যাম্পুও। এমনকি, আলাদা তেলও। তা দাড়িতে মোলায়েম রাখে। দাড়ির যত্নে সে সব কাজে লাগান। এত কিছু আলাদা করে ব্যবহারের ঝক্কি সামলাতে না পারলে, অন্তত শ্যাম্পুর পর দাড়িতেও কন্ডিশনার লাগান মনে করে।