মাথা যন্ত্রণার দাওয়াই হাতের কাছে মজুত রাখতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপায়ে। ছবি: শাটারস্টক।
রোদ-বৃষ্টির খেলা গোটা বর্ষাকাল জুড়েই অব্যাহত। আবহাওয়া যেমনই হোক, প্রতি দিনের ছুটোছুটি কমে না এতটুকু। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে দুশ্চিন্তা ও কাজের চাপ। শরীরের কষ্টকে প্রতি ক্ষেত্রে খুব যে তোয়াক্কা করতে পারি আমরা, তাও নয়। এর সঙ্গে যোগ হয় বর্ষায় আবহাওয়ার স্যাতসেঁতে ভাব।
সঙ্গে যদি ঘুম কম হয় তবে শারীরিক কষ্ট, মানসিক দুশ্চিন্তার প্রভাবে মাথা ধরে যায় প্রায়ই। এমনিতেও অভ্যাসের তুলনায় বেশি উদ্বেগ বা কাজের চাপে প্রায় অনেকেই সারা বছর ক্রনিক মাথা ধরায় ভোগেন।
নিয়ম করে ওষুধ বা বিশ্রাম এমন সমস্যা থেকে আপনাকে অনেকটাই আরামে রাখে ঠিকই। কিন্তু মাথা যন্ত্রণার এমন সমস্যায় হাতের কাছে কিছু ঘরোয়া উপশম মজুত থাকলে তা কাজেই আসে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এমন কিছু উপায় জানা থাকলে, সমস্যায় পড়লে সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
আরও পড়ুন: নাক ডাকে প্রায়ই? এই সব মানলেই সরবে অসুখ
ঘরোয়া মাসাজ: স্যাঁলো বা মাসাজ পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট দুয়েক রাখুন। রগের দু’পাশ, ঘাড় ও কপালে হালকা হাতের মাসাজ করিয়ে নিন বাড়িরই কাউকে দিয়ে। একান্ত সে সুযোগ না থাকলে নিজেও করতে পারেন। সুগন্ধী কোনও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে পারে ভাল কাজ দেয়।
ঘুম: যদি ঘুম ভাল করে না হয়, তা হলে এই সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। তাই ঘুমের দিকে খেয়াল রাখুন। ব্যথা শুরু হলে ন্যাপ নেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা নিন। একান্তই যদি তেমনটা সম্ভব না হয়, তা হলে ওষুধ ছাড়াই কী ভাবে ঘুম ভাল হবে, এমন থেরাপি জানুন বিশষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চুমু! কী ভাবে আর কেমন হবে তার ধরন?
সুগন্ধী কোনও এসেনশিয়াল অয়েলের মাসাজ মাথা যন্ত্রণার উপশম ঘটায়।
যন্ত্র থেকে দূর: মাথা যন্ত্রণা বাড়লে মোবাইল, ল্যাপটপ, টিভি স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। ঘরের আলো নিভিয়ে দিন। আলো জ্বালালেও কম পাওয়ারের নীলচে আলো জ্বালিয়ে রাখুন। আলো সরলে মাথা যন্ত্রণা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাথা যন্ত্রণার ক্রনিক অসুখ থাকলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো রোদচশমা ব্যবহার করুন।
চা-কফি: কফির ক্যাফিন মাথাব্যথা কমায়। তবে ঘন ঘন কফি খাবেন না, তাতে কিন্তু উপকার মিলবে না। মাথা ব্যথা হলে কড়া করে ব্ল্যাক কফি খান। কফি পছন্দ না করলে আদা দিয়ে চা খান। তার পর নিশ্ছিদ্র বিশ্রাম নিন। এতেও অনেকটা রুখতে পারবেন অসুখ।