কিডনির যত্নে অবশ্যই মেনে চলুন সাধারণ কিছু নিয়ম। ছবি: আইস্টক।
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিডনি বা বৃক্ক। কিডনিকে অবহেলা করলে শরীরের নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। বড় ধরনের কোনও সংক্রমণেরও শিকার হতে পারেন স্রেফ এই কিডনির প্রতি অযত্নের কারণে।
নেফ্রোলজিস্ট অভিজিৎ তরফদারের মতে, ‘‘কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেওয়া কিন্তু খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। আমরা অনেকেই কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সেই ন্যূনতম যত্নও নিই না, আর এতেই বাড়ে বিপত্তি। বছরে অন্তত এক বার মাইক্রো অ্যালবুমিন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াও জরুরি।’’
কোন কোন সাধারণ অভ্যাসেই কিডনির নানা সমস্যা দূরে থাকতে পারে, জানেন? রইল হদিশ।
আরও পড়ুন: আপনিও কি পলিসিস্টিক ওভারির শিকার? অসুখ এড়াবেন কোন পথে? চিকিৎসাই বা কী?
একটু হাঁটলে বা সিঁড়ি ভাঙলেই হাঁপ ধরে? হাঁপানি নয়, কারণ হতে পারে এ সব অসুখও
জল: শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খান। আপনার অন্যান্য অসুখ, শরীরের জল ধারণ করে রাখার ক্ষমতা ইত্যাদি ফ্যাক্টরের উপরই নির্ভর করে আপনার কতটুকু জল প্রয়োজন। সাধারণত যে কোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু জলের, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে জল খান। শরীরের টক্সিন সরাতে জলই প্রধানত সাহায্য করে। তাই জলের জোগান কিডনি যত পাবে তত তার শারীরবৃত্তীয় কাজে সুবিধা হবে।
প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখা: কিডনির সংক্রমণের অন্যতমন কারণ এটি। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এতে প্রস্রাবের নালীতে যেমন চাপ পড়ে, তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। টক্সিন বেশি ক্ষণ ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
ডায়াবিটিস: উচ্চমাত্রায় ডায়াবিটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময় চেষ্টা করুন ডায়াবিটিস থেকে দূরে থাকতে বা ডায়াবিটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
পেনকিলার: কথায় কথায় মুঠো মুঠো পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।