প্রতীকী ছবি।
চশমাই বলবে কথা। শোনাবে গানও। ছবি তুলতে হলে আর পকেটে হাত দিয়ে ফোন বার করতে হবে না। চশমার একটি বোতাম টিপে দিলেই ফ্রেমে বন্দি হবে সেই মুহূর্তটি।
রে-ব্যানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এমনই স্মার্ট গ্লাস এনেছে ফেসবুক। এই চশমা দিয়ে যেমন ফোন করা যাবে, তেমন এর স্ক্রিনে দেখে নেওয়া যাবে নানা তথ্য। আবার স্মার্ট গ্লাসে থাকবে ক্যামেরা। চোখের সামনে যা দেখছেন, সেই ছবিই তুলে নিতে পারবে চশমা। সেখান থেকে লাইভ স্ট্রিমও করা যাবে। আপাতত ২০টি ডিজাইনের স্মার্ট গ্লাস তৈরি হয়েছে। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের পাশাপাশি এই চশমা পাওয়া যাচ্ছে ইটালি, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায়।
এমন চশমা যে বাজারে আনা হবে, তা ২০১৯ সালেই ঘোষণা করেছিল ফেসবুক। নতুন ধরনের চশমার এই কালেকশনের নাম রাখা হয়েছে ‘রে-ব্যান স্টোরিজ’। স্মার্ট গ্লাস তৈরির চেষ্টা আগেও গুগ্ল করেছে। তার পর দেখা গিয়েছে স্ন্যাপস স্পেক্টেকেলসও। তবে সে সব চশমা তেমন জনপ্রিয় হয়নি। এ বারই প্রথম এই প্রযুক্তিতে ফেসবুকের হাত পড়ল। ফেসবুক-কর্তা মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়্যালিটিই হল টেক জগতের ভবিষ্যৎ। সে কারণে নানা ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে ওই সংস্থা। এই চশমাও সেই প্রকল্পের অন্তর্গত। আগামী দিনে স্মার্ট গ্লাসে আরও নানা ধরনের ফিচার যোগ করার ভাবনাও আছে ফেসবুকের।
প্রতীকী ছবি।
রে-ব্যান স্টোরিজের সব চশমায় ৫ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা থাকছে। এতে ছবির পাশাপাশি ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভিডিয়ো তোলা যাবে। আছে এলইডি লাইট, ছবি তোলার সময়ে যা আশপাশের মানুষকে জানান দেবে। রয়েছে দু’টি স্পিকার, তিনটি মাইক্রোফোনও। ভিডিয়ো তোলার সময়ে বা ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে স্পষ্ট হবে আওয়াজ।
এই চশমা ব্যবহার করতে হলে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজনীয়। এখান থেকে ছবি বা অন্যান্য তথ্য ভাগ করে নেওয়া যাবে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াট্সঅ্যাপেও।
সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া থাকলে ছ’ঘণ্টা টানা ব্যবহার করা যাবে এই চশমা।