৩০ বছর বয়সি ইভানা এক সময়ে লুকা মদরিচের দেশের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। —ফাইল চিত্র
পোশাক বিতর্ক থামছেই না কাতার বিশ্বকাপে। রামধনুর পর এ বার চর্চায় বিকিনি। আলোচনার কেন্দ্রে ক্রোয়েশিয়ার এক মডেল। নাম ইভানা নল। ৩০ বছর বয়সি ইভানা এক সময়ে লুকা মদরিচের দেশের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলকে সমর্থন করতে কাতারে এসেছেন তিনি। কাতারে ঘুরতে বেরিয়ে রাজধানী দোহার আশপাশে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সাহসী পোশাক পরেছিলেন তিনি। আর তাতেই বিপত্তি। মডেলের এ হেন আচরণে অখুশি কাতার প্রশাসন।
মরক্কোর বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে আল-বায়ত স্টেডিয়ামে তাঁকে দেখা গিয়েছিল আঁটসাঁট হুডিতে। ক্রোয়েশিয়ার পতাকা আঁকা সেই পোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁর বক্ষভাঁজ। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বনাম ইংল্যান্ডের ম্যাচেও একই ধরনের পোশাক পরেছিলেন তিনি। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করতেই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই স্থানীয় সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর পোশাক নিয়ে। সমালোচনায় অবশ্য কান দেননি মডেল। উল্টে দোহার সৈকতে বিকিনি পরে হাজির হন তিনি। বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে তাতে। অনুরাগীদের অনেকেই আশঙ্কা, কাতারের যা নিয়ম, তাতে এ হেন পোশাক পরার জন্য জেলে যেতে হতে পারে মডেলকে।
মডেলের সাহসী ছবি ভক্তদের মনে ঝড় তুললেও বিষয়টিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না কাতার প্রশাসন। এমনিতেই পোশাক নিয়ে হরেক রকমের কড়াকড়ি রয়েছে কাতারে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই খেলা দেখতে আসা মানুষদের সতর্ক করেছিল কাতারের পর্যটন দফতর। প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়ছে, পর্যটকরা যেন স্থানীয় সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে বেশি খোলামেলা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকেন। পুরুষ এবং মহিলারা যেন হাঁটু ও কাঁধ ঢাকা পোশাক পরেন, তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কাতার প্রশাসন।