খাবার দিয়েই আরশোলা তাড়াতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নাঘরের আলোটা ২ মিনিট বন্ধ করেছেন কি, হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসছে আরশোলা! গরম হোক বা বর্ষা। এমনকি শীতের দিনেও রেহাই নেই। হেঁশেল হোক বা স্নানঘর, ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসে আরশোলা।
চারপাশে ঘুরঘুর করে, খাবার খেয়ে শুধু যে রোগ ছড়ায় তা নয়, আরশোলা নিয়ে অনেকের মনেই প্রবল ভীতি। যাকে বলা হয় ‘ফোবিয়া’ বা অহেতুক ভয়। আরশোলা তাড়ানো বা মারার জন্য বাজারচলতি নানা রকম স্প্রে, চক পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্ত তা থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষত রান্নাঘরে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্কতা প্রয়োজন। তার উপর বাড়িতে যদি শিশু থাকে, সে হামাগুড়ি দিয়ে ঘরময় করে, তখন এই ধরনের স্প্রে প্রয়োগে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থাকেই। তাই আরশোলা তাড়াতে বরং ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখতে পারেন।
বেকিং সোডা
বেসনে এক চিমটে বেকিং সোডা দিলে তা মুচমুচে হয়। কেক তৈরির সময়ও এটি ব্যবহার হয়। এই বেকিং সোডার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে আরশোলাও তাড়ানো যায়। দু’টি উপাদান সমপরিমাণে মিশিয়ে রান্নাঘরের আনাচকানাচে ছড়িয়ে দিলে বা ছোট ছোট পাত্রে রেখে দিলে আরশোলা পাততাড়ি গোটাবে।
বোরিক পাউডার
সাদা মিহি গুঁড়োটি সংক্রমণ ঠেকাতে, কেটেছড়ে গেলে ব্যবহার করা হয়। পোকামাকড় ঠেকাতেও এর ব্যবহার হয়। বোরিক পাউডার ও সমপরিমাণ চিনি ভাল করে মিশিয়ে হেঁশেল থেকে রান্নাঘরে ছড়িয়ে দিলে আরশোলার উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
তেজপাতা
রান্নাঘরের আনাচকানাচে তেজপাতা ছড়িয়ে রাখলেও, আরশোলার উপদ্রব থেকে মুক্তি মিলতে পারে। ব্যবহার করতে পারেন লবঙ্গও। এতে শুধু আরশোলা নয়, পিঁপড়েও দূরে থাকবে।
লেবু ও মিন্ট অয়েল
একটি বোতলে জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন ঘরের আনাচকানাচে। জলের সঙ্গে মিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিলেও কাজ হবে। এই গন্ধ আরশোলা পছন্দ করে না। এ ছাড়া নিমপাতা জলে মিশিয়ে বোতলে ভরেও স্প্রে করতে পারেন।
তবে রান্নাঘর থেকে স্নানঘর, ঘরের আনাচকানাচ পরিচ্ছন্ন রাখলে কিছুটা হলেও আরশোলার উপদ্রব কমানো সম্ভব।