ঘরেই বানান এমন পদ।
ভারী মশলাদার খাবার তো আর সব সময়ে খাওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে একটু ব্যতিক্রম হলে মন্দ কী! ছুটির দিন দেখে পোলাও কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে পাঁঠার মাংসের পদ হলে বাকি সপ্তাহটা ভাল কাটে।
রইল বাঙালির অতি প্রিয় পাঁঠার মাংসের পদ মটন ডাকবাংলো রান্নার উপায়। একবার খেলে স্বাদ ভুলতেই পারবেন না। প্রতি সপ্তাহের একঘেয়ে মাংসের ঝোলের থেকে হোক একটু স্বাদবদল।
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: ৫০০ গ্রাম
দই: ২ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
লাল লঙ্কাগুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
সর্ষের তেল: ৪ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদমতো
তেজপাতা: ১-২টি
জয়িত্রী: ১টি
জায়ফল: ১/৪ চামচ
মটন ডাকবাংলো।
দারচিনি: ১ ইঞ্চি
লবঙ্গ: ৬টি
গোলমরিচ: ৮-১০টি
ছোট এলাচ: ৬টি
ধনের বীজ: ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২ টো
আলু: ৩ টে (খোসা ছাড়ানো)
ডিম: ২টি (সিদ্ধ করা)
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
টোম্যাটো কুচি: ১/২ কাপ
চিনি: ১/২ চা চামচ
জল: ১ কাপ
প্রণালী:
একটি বড় পাত্রে পাঁঠার মাংস রাখুন। এবার তাতে দই, আদা-রসুন বাটা, হলুদগুঁড়ো, শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো ও নুন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিয়ে পুরোটা ভাল করে মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন।
এবার একটি মিক্সারে তেজপাতা, জয়িত্রী, জায়ফল, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ, ছোট এলাচ, ধনের বীজ ও শুকনোলঙ্কা ভাল করে গুঁড়ো করে মশলাগুঁড়ো বানিয়ে নিন।
এবার কড়াইতে তেল দিন। আঁচ বেশি করে ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে খোসা ছাড়ানো আলুগুলি দিন। যতক্ষণ না আলু সোনালি রঙা হয়ে আসছে, ততক্ষণ ভাজুন। এ বার আলাদা করে আলুগুলি তুলে রাখুন। সেদ্ধ করে রাখা ডিমগুলি তার পরে ভাল করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তুলে রাখুন।
এবার তেলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে ভাজা ভাজা হলে তাতে ম্যারিনেট করে রাখা মাংস দিয়ে দিন। বেশি আঁচে মিনিট চারেক কষান। এর পরে টোম্যাটো কুচি, ভেজে রাখা আলুগুলি, চিনি এবং তৈরি করা মশলাগুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষাতে থাকুন। তার পরে ১ কাপ জল দিয়ে কড়াইটা ঢাকা দিয়ে রাখুন, যতক্ষণ পর্যন্ত না পাঁঠার মাংস ভাল ভাবে সিদ্ধ হচ্ছে। ৪০ মিনিট পরে খুলে দেখুন, যদি ঝোল ঠিকমতো হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে তাতে সিদ্ধ করা ডিম দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট বেশি আঁচে কষিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিন। পোলাও কিংবা গরম ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।