গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসতে বাকি আর ১৩ দিন। অফিস থেকে ফিরতি পথে কেনাকাটা করতে যেতে হচ্ছে প্রায়ই। সপ্তাহান্তে একটি ছুটির দিন ক্লান্ত হয়েই কেটে যাচ্ছে। পুজোর সময় বাড়ি-ঘর অপরিষ্কার রাখলে চলে না। কিন্তু সারা বছর ঘরদোরের দিকে সেই ভাবে নজর না দেওয়ায় স্লাইডিং জানলার চ্যানেলে কিংবা ফ্রিজের দরজার মুখে যে রাবারের ব্যান্ড থাকে, তার মধ্যে বিস্তর ধুলো জমেছে। সেই সব পরিষ্কার করা যেমন সহজ নয়, তেমন কম সময়েরও কাজ নয়। সারা সপ্তাহ কাজ করে পুজোর ক’টা দিনও যদি সাফাইয়ের কাজ করতে হয়, তা হলে তো মুশকিল। তাই কম সময়ে চটজলদি ঘর পরিষ্কার করার ফিকির রইল এখানে।
১) ওয়ান মিনিট রুল
ঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সব সময়ে এই নিয়মটি মাথায় রাখুন। দাগ বা নোংরা বেশি পুরনো হয়ে গেলে তোলা মুশকিল হয়। তাই হাতে এক মিনিট সময় থাকলেই ছোট ছোট জায়গা পরিষ্কার করতে থাকুন।
২) বেকিং সোডা এবং ভিনিগারের মিশ্রণ
প্লাস্টিক বা কাচের একটি শিশিতে বেকিং সোডা এবং ভিনিগার মিশিয়ে রেখে দিন। সর্বজনীন এই দ্রবণে রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে গ্যাস অভেন, মাইক্রোঅয়েভ, ফ্রিজ— সবই পরিষ্কার করে ফেলা যায়।
স্নান করতে গিয়েই স্নানঘর পরিষ্কার করে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) গান শুনতে শুনতে কাজ করুন
ছুটির দিন সকালে একটা দিন একটু তা়ড়াতাড়ি উঠে পড়ুন। মোবাইলে বা রেকর্ডারে পছন্দের গানের লিস্ট চালিয়ে দিন। আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখুন, সে দিন কোন কোন কাজ করবেন। একঘেয়েমি কেটে গেলে কাজ করতে বেশি সময় লাগে না।
৪) স্নান করতে গিয়েই স্নানঘর পরিষ্কার করে নিন
শ্যাম্পু করতে গিয়ে বা সাবান মাখতে গিয়ে স্নানঘরের দেওয়াল জুড়ে ফেনা ছড়িয়ে আসেন প্রায়ই। মায়ের কাছে বকুনিও খান। স্নানঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজে লাগান এই ফিকির। দেওয়ালে এ দিক-ও দিক মেখে থাকা ওই ফেনা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে নিন। হ্যান্ড শাওয়ার দিয়ে ধুয়ে নিলেই টাইল্স ঝকঝক করবে।
৫) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন
এমন অনেক কাজই থাকে, যা করতে করতেও বাড়ি-ঘর গুছিয়ে নেওয়া যায়। ভাত বা সব্জি সেদ্ধ করতে বসিয়ে যেমন গাছের শুকনো ডাল, পাতা কেটে ছেঁটে নেওয়া যায়। তেমন শাড়ি গুছিয়ে রাখতে গিয়ে প্রতিটা তাকের ধুলোময়লা মুছে আলমারি পরিষ্কার করে নেওয়া যায়।