ঠাকুর দেখতে বেরোলে ব্যাগে কী কী রাখা চাই-ই-চাই? ছবি: সংগৃহীত
পুজোর সময়ে বেরোনো মানেই আগে ব্যাগে থাকত টুকটাক সাজার জিনিস। মেক আপ একটু ঘেঁটে গেলে কম্প্যাক্টের পাফ বুলিয়ে নেওয়া, কিংবা চট করে স্প্রে করার জন্য ছোট পারফিউমের শিশি। এগুলি তো রাখেনই। তবে ছোটখাটো এমন অনেক জিনিস থাকে, যা আমরা ব্যাগে রাখতে ভুলে যাই অথচ রাস্তায় বেরিয়ে খুবই প্রয়োজন পড়ে।
স্যানিটাইজার
পুজো মানেই রাস্তায় বেরিয়ে প্রচুর খাওয়াদাওয়া। রাস্তাঘাটে কিছু খেলে একটু পরিচ্ছন্নতা না মানলেই নয়। সে ক্ষেত্রে ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখতে ভুলবেন না। ডিজইনফেক্ট্যান্ট টিস্যুও রাখতে পারেন, তা দিয়ে অপরিষ্কার হাত মুছে নেওয়া যাবে।
ওষুধ
অনেক ক্ষণ ধরে এক মণ্ডপ থেকে অন্য মণ্ডপে ঘুরে মাথা ধরে গেল? এ রকম অনেকেরই হয়। তাই ব্যাগে রেখে দিন প্রয়োজনীয় কয়েকটি ওষুধ। বমিভাব, মাথা ধরার মতো সমস্যা যাতে আপনার পুজো পরিক্রমাকে বানচাল না করে। এ ক্ষেত্রে জোয়ানও রাখতে পারেন সঙ্গে।
রাস্তাঘাটে পরিচ্ছন্নতা মানতে ব্যাগে স্যানিটাইজার রাখতে ভুলবেন না। ছবি: সংগৃহীত
ব্যান্ড এড
নতুন জুতো পরে ঘণ্টা খানেক হাঁটাহাঁটি করার পরই পায়ে ফোস্কা পড়ে গেল? ফোস্কা নিয়ে হাঁটাই তো মুশকিল! সমস্যা এড়াতে ব্যাগে কয়েকটি ব্যান্ড এড রেখে দিন।
জলের বোতল
সারা দিন ঠাকুর দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে জল তেষ্টা পায়, আর আমরা বাইরে থেকে ঠান্ডা নরম পানীয় কিনে খাই! আর তাতেই হয় বিপত্তি! এই অভ্যাসের কারণে ওজনও বাড়ে আর ঠান্ডা গরমে গলাও বসে যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যাগে একটি ছোট জলের বোতল অবশ্যই রাখুন। খুব ভাল হয় যদি ‘ডিটক্স ওয়াটার’ বানিয়ে ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। মাঝেমাঝে তা খেলে সারা দিন বেশ চাঙ্গা থাকবেন।
ছাতা
পুজোয় মাঝেমাঝেই বৃষ্টি পড়বে। তাই সাজগোজ নষ্ট না করতে চাইলে একটি ছাতা অবশ্যই রাখুন।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক
সারাদিন ঠাকুর দেখতে বেরোবেন আর ছবি তুলবেন না, তা তো আর হয় না! অসংখ্য ছবি তুলতে গিয়ে ফোনের ব্যাটারিটা শেষ হয়ে মোবাইল সুইচ অফ! ফোনে না পেয়ে বাড়ির লোকেদেরও চিন্তার শেষ নেই। এই রকম ঘটনা এড়াতে সঙ্গে একটা পাওয়ার ব্যাঙ্ক রেখে নিন।