জুতো খুললেই নাকে হাত দিতে হয়? প্রতীকী ছবি।
পুজো মানেই পায়ে পায়ে মণ্ডপ পরিক্রমা কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধুদের সঙ্গে ‘টোটো’ করা। এমন ঘোরাঘুরির ফলে কখনও কখনও পায়ে এমন দুর্গন্ধ হয় যে, পরিজনদের সামনে মান-সম্মান জলাঞ্জলি যাওয়ার উপক্রম হয়। দীর্ঘ ক্ষণ জুতো পরে থাকলে অনেকের পা থেকেই তীব্র দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। আসলে পায়ে ঘাম জমলে ত্বকের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। আর্দ্রতা বাড়লে পায়ের পাতা ও আঙুলের ভাঁজে বাড়ে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। এর ফলেই দুর্গন্ধ হয় পায়ে। ঘটনাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রোমোডোসিস’। শুধু ঘামই নয়, ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে পরিজনদের সামনে যাতে এই বিড়ম্বনা দেখা না দেয়, তাই মেনে চলতে পারেন কিছু সহজ টোটকা।
১। পুজোর আগে থেকেই রোজ অন্তত এক বার সাবান দিয়ে ঘষে পা সাফ করুন। যে দিন ঘুরতে বেরোবেন, সে দিন সকাল বা সন্ধ্যার সময়ে পা সাফ করা চাই-ই চাই। তবে পা যেন ভিজে না থাকে। পা ভিজে থাকলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
২। পায়ের নখ কেটে ফেলুন। বড় নখ রাখা চলবে না। নখের ভিতরে যে ময়লা জমে, তাতে জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত হয়।
৩। পা ঘষে গোড়ালির মৃত চামড়া তুলে ফেলুন। ত্বক শুকিয়ে ফেটে গেলে সেই ফাটা জায়গায় জীবাণু জমে। পাশাপাশি, মৃত ত্বকের অবশিষ্টাংশ ভিজে অবস্থায় জীবাণুর বাসস্থল হয়ে ওঠে। ফলে বৃদ্ধি পায় পায়ের দুর্গন্ধ।
৪। এক মোজা বার বার পরবেন না। পা ঘামলে ভিজে যায় পায়ের মোজা। তাই দিনে এক বার অন্তত মোজা বদল করা জরুরি।
পুজোর আগে থেকেই রোজ অন্তত এক বার সাবান দিয়ে ঘষে পা সাফ করুন। প্রতীকী ছবি।
৫। পুজোয় নতুন জুতো কিনেছেন বলে চার দিন একই জুতো পরবেন না। তাতে সাজও একঘেয়ে লাগবে না। পায়ের গন্ধও কমবে। অন্তত এক দিন অন্তর অন্তর বদলে বদলে জুতো পরুন। জুতোর শুকতলা শুকনো থাকলে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কম হয়।
৬। চটজলদি পায়ের দুর্গন্ধ কমাতে চাইলে পায়ে ও মোজায় ডিয়োড্রেন্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন। এক টুকরো তুলো ভিনিগারে ভিজিয়ে পায়ের পাতা ও আঙুল মুছে নিলেও উপকার মিলতে পারে।
৭। মাউথওয়াশ কিংবা স্যানিটাইজারে তুলো ভিজিয়ে নিয়ে সেই তুলো দিয়েও মুছে নিতে পারেন পা। তবে এই দ্রবণগুলি ফাটা বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা যাবে না।
৮। জুতো পরার ঘণ্টাখানেক আগে জুতোর ভিতরে খাবার নুন কিংবা খাওয়ার সোডা ছড়িয়ে রাখতে পারেন। তাতেও পায়ে গন্ধ হবে না।