পঞ্চাশে দোলনা ছবি: রূপক ভট্টাচার্য
১৯৭২ সালে মধুশ্রী দাশগুপ্তর হাত ধরে যাত্রা শুরু কলকাতার প্রথম ক্রেশ দোলনার। রবিবার পঞ্চাশে পা দিল কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গান, আড্ডা আর স্মৃতিচারণায় মোড়া সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বহু প্রাক্তনীও।
পঞ্চাশটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। ছবি: রূপক ভট্টাচার্য
‘হে চির নূতন’ গানের সুরে, পঞ্চাশটি প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। গানের কথায় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হাজির ছিলেন মৈত্রেয়ী দেবীও। তাঁর লেখা ‘দোলনার গান’ গাইতেও দেখা যায় কচিকাঁচাদের। পাশাপাশি প্রাক্তনী ও অভিভাবকরাও ভাগ করে নেন নিজেদের অভিজ্ঞতা। নেটমাধ্যম মারফত অভিভাবক ও প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে আসার আহ্বান জানান হয়েছিল বলে খবর স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে। স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে হাজির ছিলেন দোলনার প্রাক্তনী চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও।
সত্তরের দশকে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে শুধু ক্রেশে সীমাবদ্ধ নেই, রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠনের সুযোগ। রয়েছে নাচ,গান,আবৃত্তি কিংবা ছবি আঁকা শেখার সুযোগও। দোলনার প্রধান শিক্ষিকা মধুরা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এমন প্রতিষ্ঠান কিন্তু একেবারেই বিরল, যেখানে কোনও শিশু তিন মাস বয়স থেকে ১৮ বছর বয়স অবধি বেড়ে উঠতে পারে।’’ তবে শুধু ক্রেশ হিসেবে নয়, পরিচালন পদ্ধতিতেও দোলনা ব্যতিক্রমী বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘‘দোলনার ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা খুব বেশি নয়, কারণ এখানে প্রতিটি শিশুকেই আলাদা যত্ন নিয়ে দেখাশোনা করা হয়, আর এই যত্নের জন্যই দোলনার সুনাম। এই সুনামের জন্যই বিশেষ কোনও আর্থিক সাহায্য ছাড়াই এতো বছর পরেও সফলতার সঙ্গে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।’’
প্রতিষ্ঠাতা মধুশ্রী দাশগুপ্তের সঙ্গে সৃজিত-মিথিলা। ছবি: রূপক ভট্টাচার্য