প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যা হতে না হতেই মশায় ঘিরে ধরেছে। হাজার রকম রাসায়নিক স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না। আপনার বাড়ির বারান্দায় আড্ডায় মগ্ন সকল অতিথিকে ঘিরে ধরছে। যে সব জিনিস মশাকে আকৃষ্ট করে, তার মধ্যে কি তবে রয়েছে মদও?
গবেষকরা বলে থাকেন, ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জিনগত কারণে মশা কারও কারও প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। তা ছাড়া, যে কার্বন ডাই-অক্সাইড আমরা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে বার করছি, তা-ও আকৃষ্ট করে। ৫০ মিটার দূর থেকেও তা টের পেতে পারে একটি মশা। যারা যত বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড বার করে, তারা তত বেশি মশাকে আকৃষ্ট করে। যে কারণে ছোটদের থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের দিকে বেশি যায় মশা। আর সকলের চেয়ে বেশি এগিয়ে যায় অন্তঃসত্ত্বাদের দিকে। এরই পাশাপাশি আরও একটি বিষয় মশাদের আকৃষ্ট করে। তা হল শরীরের তাপ।
যে সব জিনিস মশাকে আকৃষ্ট করে, তার মধ্যে কি তবে আছে মদও?
২০২০ সালে ‘অ্যামেরিকান মসকিউটো কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন’ এ সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা চালায়। তাতেই দেখা যায় মদ্যপান আর মশার কামড়ে সরাসরি একটি যোগ রয়েছে। দেখা যায় মদ্যপানের পর মশা কামড়ানোর আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে অধিকাংশের ক্ষেত্রে।
কিন্তু কেন এমন হয়?
কেনটাকির পাবলিক হেলথ্ বিভাগের অধিকর্তা গ্রেসন ব্রাউনের বক্তব্য, মদ্যপানের পর দেহের তাপমাত্রা খানিকটা বেড়ে যায়। ঘাম হয়। আর তার সঙ্গেই বাড়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাই-অক্সাইড বার করার প্রবণতাও।
তবে তা তো গেল মদ্যপান করার পরের প্রসঙ্গ। কিন্তু মদ্যপানের সময়ও মশারা আকৃষ্ট হয়। বিশেষ করে যদি বিয়ার নিয়ে বসেন। সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে যায় মশা। কারণ, বিয়ারের বোতল খোলা মাত্র বেশ খানিকটা কার্বন ডাই-অক্সাইড বেরোয়। আর সঙ্গে সঙ্গে বারান্দা হোক বা বাড়ির বাগান, আড্ডার মাঝে বিরক্ত করতে হাজির হয়ে যায় একদল মশা।