এই সব খাবার গ্লুটেন-মুক্ত ছবি: সংগৃহীত
খাদ্যাতালিকায় গমজাতীয় খাবার, বার্লি ইত্যাদি বাদ দেন কি? আপনি তা হলে গ্লুটেন-মুক্ত খাদ্যাভ্যাসে রয়েছেন। খাবারে গ্লুটেন থাকলে অনেকেরই সমস্যা হয় বলে, তাঁরাও এই খাবার এড়িয়ে যান।
গ্লুটেন কী?
এটি এক ধরনের প্রোটিন যেটা মূলত গম, রাই, বার্লি ইত্যাদিতে থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব খাবারে, যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপ্স, সস, বিয়ার এই সব খাবারে গ্লুটেন থাকে।
গ্লুটেন-মুক্ত খাবারের তালিকায় কী কী?
গ্লুটেন মুক্ত খাবারের তালিকায় রয়েছে তাজা ফল, সব্জি, ডিম, মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত দ্রব্য।
গ্লুটেন আছে, এমন খাবার কারা খেতে পারেন?
গ্লুটেন যুক্ত খাবার আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। কিন্তু বিশেষ কিছু সমস্যা থাকলে গ্লুটেন মু্ক্ত খাবারই খেতে হবে।
সিলিয়াক রোগ: এই রোগ যাঁদের আছে, গ্লুটেন যুক্ত খাবার খেলে তাঁদের ক্ষুদ্রান্ত্রের আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ ব্যাহত হয়। সিলিয়াক রোগ একধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা।
গ্লুটেন সংবেদনশীলতা: সিলিয়াক রোগ না থেকেও অনেকেরই গ্লুটেন নিয়ে সংবেদনশীলতা থাকে। এমনকি সিলিয়াক রোগের উপসর্গও দেখা যেতে পারে। পেটের তলদেশে ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, চুলকানি, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষুদ্রান্ত্রের কোনও ক্ষতি না হলেও এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়। তাঁদের গ্লুটেন মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
গ্লুটেন অ্যাটাক্সিয়া: এটিও একধরনের অটোইমিউন ঘটিত অসুস্থতা। বেশ কিছু স্নায়ুর তন্তুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে পেশির নড়াচড়া করার শক্তি ব্যাহত হয়।
হুইট অ্যালার্জি: অনেকের আটাতে অ্যালার্জি হয়। আটাতে একধরনের প্রোটিন থাকে, যা শরীর ভাইরাস বা ব্যাকটিরিয়া ভেবে ভুল করে। সুতরাং তার প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।