FSSAI

রেস্তরাঁর কোন খাবারে কত ক্যালরি, তার উল্লেখ রাখতে হবে মেনুকার্ডে! কেন্দ্রের নিয়ম কি আদৌ মানা হচ্ছে?

ছোট-বড় সমস্ত ধরনের রেস্তরাঁর মেনু কার্ডে এ বার লিখে রাখতে হবে কোন খাবারে ক‌্যালোরির মাত্রা কত। ২০২০ সালে এমনই নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় খাদ‌্য সুরক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেই নিয়ম কি মানা হচ্ছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:০৭
Share:

অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিমমুখী হচ্ছেন, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানছেন। ছবি- সংগৃহীত

ইদানীং মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেশ বেড়েছে। অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিমমুখী হচ্ছেন, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানছেন। বাড়িতে চামচ মাপা তেলে রান্না করলেও রেস্তরাঁতে গেলেই সব হিসাব যেন গোলমাল হয়ে যায়।এ বার রেস্তরাঁয় গিয়ে খাবার মুখে তোলার আগেই জানতে পারবেন সেটি খেলে কত ক‌্যালোরি আপনার শরীরে ঢুকবে। এক প্লেট বিরিয়ানি, একটি পিৎজা বা চারটি কচুরি অর্ডার করার সময়ে খাবারের দামের সঙ্গেই চোখের সামনে দেখতে পাবেন ক‌্যালোরির মাত্রাটিও। রেস্তরাঁর মেনু কার্ডে এ বার লিখে রাখতে হবে কোন খাবারে ক‌্যালোরির মাত্রা কত। এমনই নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় খাদ‌্য সুরক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফএসএসএআই)।

Advertisement

২০২০ সালে এফএসএসএআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে সব রেস্তরাঁর সেন্ট্রাল লাইসেন্স আছে বা দশটি ভিন্ন জায়গায় যাদের শাখা আছে, তাদের মেনু কার্ড, বুকলেট বা বোর্ডে খাবারের নাম, দামের পাশাপাশি সেই খাবারে কী পরিমাণ ক‌্যালোরি রয়েছে তা-ও উল্লেখ করতে হবে। তবে অনেক রেস্তরাঁতেই মানা হচ্ছে না সেই নির্দেশিকা। শুক্রবার এফএসএসএআই দেশের ১৬টি রেস্তরাঁকে নোটিস পাঠিয়ে এই বিষয় সতর্ক করেছে। এফএসএসএআই কর্তৃক জানানো হয়েছে, এই সব রেস্তরাঁর মেনুকার্ডে ক্যালোরির মাত্রা উল্লেখ করা নেই। এদের মধ্যে বেশ কিছু পাঁচতারা হোটেলও আছে। শীঘ্রই নির্দেশিকা না মানলে বন্ধ করে দেওয়া হবে রেস্তরাঁ, নোটিসে এমনই বার্তা দিয়েছে এফএসএসএআই।রেস্তরাঁগুলির তরফে জানানো হয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে এতগুলি পদের ক্যালরির মাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এই পুরো কাজ শেষ করতে চাই বাড়তি সময়। বড় রেস্তরাঁ চেনগুলিকে মেনু কার্ডে ক‌্যালোরি উল্লেখ করার জন‌্য এ বছর জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল এসএফএফএআই।

রেস্তরাঁর মেনু কার্ডে এ বার লিখে রাখতে হবে কোন খাবারে ক‌্যালোরির মাত্রা কত। ছবি- সংগৃহীত

কিন্তু আচমকা এই সিদ্ধান্তের কারণ কী? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এফএসএসআই-এর আধিকারিক ইনোশি শর্মা বলেন, “সাধারণ মানুষের জানা উচিত, তাঁরা কী খাচ্ছেন। স্বাস্থ‌্যই সম্পদ। যেমন জামা, গাড়ি, আসবাবপত্র কেনার সময় সেগুলি কী দিয়ে তৈরি সকলে জেনে নেন, তেমনই জানা উচিত রেস্তরাঁয় রান্না করা খাবারে কী কী উপাদান রয়েছে।”

Advertisement

আপাতত বড় রেস্তরাঁগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ‌্য হবে। তার পর ধীরে ধীরে ছোট রেস্তরাঁগুলিতেও চালু করা হবে বলে জানান ইনোশি। অনেক রেস্তরাঁই এর জন‌্য আরও সময় চেয়ে নিয়েছে। তবে তা দেওয়া হবে কি না, দেওয়া হলে কতটা সময় বেঁধে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement