কেট মিডলটন ও সেই মুক্তোর মালা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তাঁর গলায় একটি মুক্তোর মালা। আর তাতেই পারিবারিক বন্ধনের কথা তুলে ধরা। শোকের সময়ে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের আদবকায়দা যাঁরা জানেন, তাঁরা বুঝলেন। মুখে কিছু না বলেও পাশে থাকার এ অঙ্গীকার। প্রিন্স ফিলিপের শেষযাত্রা উপলক্ষে তাঁর নাতবউ কেটের সাজ এ ভাবেই গুরুত্ব পেল।
শনিবার রাজপরিবারের সকলের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য। তাঁদের নাতি, কেমব্রিজের ডিউক উইলিয়ামও সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন সেই সমাগমে। স্ত্রী কেটের পরনে কালো গাউন। সঙ্গে কালো মাস্ক। শোকজ্ঞাপনের পোশাকেও নজর কাড়লেন রানির নাতবউ। গোটা দুনিয়ার চোখ টানল তাঁর গলা জুড়ে থাকা তিন ছড়া মুক্তোর চোকারটি।
বিশেষ কোনও দিনে পারিবারিক গয়না পরার রীতি ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের মহিলাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় সব সময়েই। তবে কেটের গলার হারটির তাৎপর্য অনেক। এই চোকারে আগে দেখা গিয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। হারটি পরেছিলেন কেটের শাশুড়িমা ডায়ানাও।
তিন প্রজন্মের সাক্ষী যে মালা।
জাপানি মুক্তোয় তৈরি এই চোকারটি রানিকে উপহার দেওয়া হয়েছিল জাপানের সরকারের তরফে। বহু বার তাঁকে এই হার পরতে দেখা গিয়েছে। ১৯৮২ সালে রানির থেকে গয়নাটি নিয়ে সেজেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ ডায়ানা। ২০১৭ সালে রানি ও প্রিন্স ফিলিপের ৭০তম বিবাহ বার্ষিকীর জমায়েতে আবার কেট এই হারটিই পরেছিলেন। অর্থাৎ, এই গয়নাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পরিবারের বহু স্মৃতি। তাই রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টির সমাগমে গলায় এই চোকার পরে আসা আসলে আগের দুই প্রজন্মের প্রতি কেটের শ্রদ্ধা জানানোর ভঙ্গি বলেই মনে করছেন বেশির ভাগে।
সাজ-পোশাক অনেক কথাই বলে। আর সেই সাজ যখন হয় এমন কারও, যিনি পরবর্তীতে সে দেশের রানি হতে পারেন— তার তাৎপর্য আলাদাই হয়। পরিবারের বড়দের সম্মান জানানোর এমন ভঙ্গি বেশ রুচিশীল বলেই মনে করছেন অনেকে। বিশেষত এমন সময়ে যখন সে বাড়িরই আর এক বধূ, মেগান মার্কলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে গোটা পরিবারের।