অ্যাডাম হ্যারি।
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ বৃহস্পতিবার রূপান্তরকামী শিক্ষানবিশ পাইলট অ্যাডাম হ্যারিকে ‘পাইলট লাইসেন্স’-এর জন্য পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষার দেওয়ার আবেদন জানাতে বলেছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী অ্যাডাম হ্যারিকে ‘কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স’ ডিজিসিএ কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া হয়নি কারণ তিনি একজন রূপান্তরিত পুরুষ। কিন্তু এ তথ্য মোটেও সঠিক নয়। রূপান্তরকারী ব্যক্তিদের পাইলট লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম বিধিনিষেধ নেই। বিমান বিধিমালা, ১৯৩৭ অনুযায়ী কোনও শিক্ষানবিশের বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মেডিকেল ফিটনেস, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে তাঁকে লাইসেন্স দেওয়া হবে কি না। একজন রূপান্তরিত ব্যক্তিকে ফিট মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া যেতেই পারে যদি তিনি মানসিক ও শারীরিক ভাবে একেবারে সুস্থ হন।
ডিজিসিএ সংস্থা আরও জানান, ‘হরমোনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’-এর প্রভাবে যদি ব্যক্তির শরীরে কোনও উপসর্গ বা শারীরিক অসুবিধা না থাকে, তা হলে সেই ব্যক্তির লাইসেন্স পেতে কোনও রকম সমস্যা হবে না। কিন্তু যত দিন পর্যন্ত হরমোনের ওষুধগুলির প্রভাব রূপান্তরকামী ব্যক্তির শারীরিক পরিবর্তনগুলি সম্পূর্ণ হচ্ছে না এবং থেরাপিটি কোনও স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছাচ্ছে না, তত দিন তাঁকে বিমান চালানোর লাইসেন্স দেওয়া যাবে না।
ডিজিসিএ-এর বক্তব্য, হ্যারি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে একটি মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। তখন তার মেডিকেল রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে তিনি মহিলা থেকে পুরুষে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য হরমোন থেরাপির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং থেরাপিটি তাঁকে বেশ কিছু দিন আরও চালিয়ে যেতে হবে। তা ছাড়া তখন জমা পড়া মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্ট সম্পূর্ণ ছিল না। তাই সেই সময় তাঁকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। সেই সময় শিক্ষনবিশ হিসেবে তাঁর যত ঘণ্টা বিমান চালানোর কথা ছিল, সেই সময়ও তিনি পূর্ণ করেননি। গ্রাউন্ড ক্লাসেও তার উপস্থিতি আশানুরূপ ছিল না। এই সব কারণেই তাঁকে সেই সময় লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
এখন আবার নতুন করে ডিজিসিএ হ্যারিকে নতুন করে লাইসেন্সের জন্য আবেদন জানাতে বলেছে।