কাজে যান সামার স্টাইলে

গরমে চাকুরিরত মেয়েদের ফ্যাশন কেমন হওয়া উচিত? অফিস ফ্যাশন নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন ডিজ়াইনার রিতু কুমার

Advertisement

অন্তরা মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০১
Share:

ডিজ়াইনার রিতু কুমার।

হ্যান্ডলুমেই ভরসা রাখুন

Advertisement

রিতু কুমারের কালেকশনে হ্যান্ডলুমকেই সবচেয়ে মূল্যবান মেটিরিয়াল বলে মানা হয়। রিতু নিজেও বললেন, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন হ্যান্ডলুমকে লোকে বলত নিম্নবিত্তের পোশাক। অথচ আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ এই হ্যান্ডলুম। তাই হাতে বোনা কাপড়, হ্যান্ড ডায়েড স্কার্ফ বা ড্রেস, হ্যান্ড ব্লক প্রিন্ট মেটিরিয়ালের পোশাক আমাদের ওয়ার্ড্রোবে বেশি করে রাখা উচিত। এগুলো গরম আবহাওয়ার জন্যও উপযোগী।’’ সেগুলোই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরতে পারলে আলাদা করে সামারওয়্যার নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। ধরুন, সুতির একটা প্যাস্টেল শেডের ড্রেস পরলেন। তার সঙ্গে ব্লক প্রিন্টের কাপড়ের স্কার্ফ বা হ্যান্ডডায়েড প্যাটার্নড স্কার্ফ নিলেন একটা। অথবা কটনের একরঙা লং ড্রেসের সঙ্গে বাঁধনি বা ব্লক প্রিন্টের হালকা-লম্বা জ্যাকেট পরলেন। স্টাইলও হবে, অফিস ড্রেসকোড বজায়ও থাকবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

ভারতীয় কাপড়ে ফর্ম্যাল ওয়্যার

আমাদের দেশীয় কাপড়ে এত বৈচিত্র থাকা সত্ত্বেও বিদেশি পোশাককেই প্রাধান্য দিই আমরা। কর্পোরেট ফর্ম্যাল ওয়্যার হোক বা ডিজ়াইনার লেবেল। অথচ সিন্থেটিক বা পলিয়েস্টার শার্ট বাদ রেখে আজরখ, ইক্কত, ইন্ডিয়ান টাই অ্যান্ড ডাই অর্থাৎ বাঁধনি বা লেহরিয়ার মতো হ্যান্ড প্রিন্টেড কাপড়ের শার্ট দর্জির থেকে বানিয়ে নিয়ে পরলে গরমে তা অনেক বেশি আরামদায়ক হবে। হ্যান্ডলুম শিল্পীদেরও কোণঠাসা হতে হবে না পাশ্চাত্য বাজারের কাছে। কর্পোরেট অফিসে তেমন কোনও ড্রেস কোড বা ইউনিফর্ম না থাকলে নিজেদের মতো করে এথনিক এলিমেন্ট যোগ করা যেতে পারে পোশাকে। শিফট ড্রেস বা কাফতান ড্রেসও গরমে অফিসে চলতে পারে, কিন্তু মেটিরিয়াল হোক ভারতীয়। সুতির ভাল ফিটের কুর্তি, তার সঙ্গে ঢিলেঢালা পালাজ়ো বা ঘেরওয়ালা লং স্কার্ট, ব্লক বা স্ক্রিন প্রিন্টের টপের সঙ্গে সেই প্রিন্টের কিউলোট প্যান্টস বা ক্রপড ট্রাউজ়ার্স (কো-অর্ডস) এ সবই গরমের জন্য আদর্শ পোশাক। শুধু পোশাকের কাট এবং ফিট যেন আধুনিক হয়।

তবে শাড়িই সেরা

গরমে খুব পরিশ্রম না করে নিজেকে সুন্দর দেখাতে চাইলে স্লিভলেস ব্লাউজ়ের সঙ্গে হ্যান্ডলুম শাড়ি পরাই হল সেরা উপায়। জার্সি ব্লাউজ় বা গেঞ্জি টপের সঙ্গে শাড়ি পরে নিতে পারেন। স্মার্ট দেখাবে। কলকাতায় গড়িয়াহাট-নিউমার্কেট জুড়ে সুতির ছাপা শাড়ির রকমফের পাওয়া যায়। যদি সারা দিন খুব দৌড়ে বেড়ানোর কাজ না হয়, তা হলে গোটা গ্রীষ্মকাল জুড়ে চার-পাঁচটা শাড়িই টিশার্ট বা বোলেরো জ্যাকেট বা জার্সি ব্লাউজ়ের সঙ্গে পরে নিতে পারেন। রিতু কুমারের পরামর্শ অনুযায়ী, ফুল স্লিভ বা হালকা কাপড়ের লং জ্যাকেটের সঙ্গেও শাড়ি পরতে পারেন। তবে মাথায় রাখতে হবে, ফিগার এবং হাইটের কথা।

পার্টি থাকলে চেঞ্জ সঙ্গে রাখুন

একই পোশাকে সারা দিন অফিস করে, তার পরে সেই পোশাকেই পার্টি বা বিয়ের নেমন্তন্ন? কখনও নয়! একটা চেঞ্জ অবশ্যই সঙ্গে রাখা উচিত। এখন তো ফর্ম্যাল শার্টের সঙ্গেও সকলে শাড়ি টিম-আপ করছেন। আত্মবিশ্বাস থাকলে শাড়িটাই শুধু সঙ্গে রাখুন। জিনস বদলে শার্টটাকেই টাই আপ করে ব্লাউজ় বানিয়ে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করান। ‘‘আমাদের দেশে বিয়েটা ভীষণ গ্ল্যামারাস একটা অনুষ্ঠান। সেখানে অফিসের জামাকাপড় পরেই চলে যাওয়াটা কিন্তু ফাঁকিবাজি! ইউ মাস্ট ডেক আপ ইলাবরেটলি,’’ মন্তব্য রিতু কুমারের।

মডেল: শ্রীময়ী ঘোষ; মেকআপ: অভিজিৎ পাল; ছবি: দেবর্ষি সরকার; লোকেশন: দ্য পার্ক হোটেল; পোশাক: রিতু কুমার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement