মশার কামড়ের পরে চার থেকে চোদ্দ দিন পরে ডেঙ্গির উপসর্গগুলি দেখা যায়।
অনেকেরই ধারণা যদি একবার বড় কোনও রোগে আক্রান্ত হয় কোনও মানুষ, তবে সেই রোগে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সে ভাবে নেই। এই কথা কিছু রোগের ক্ষেত্রে সত্যি হলেও, ডেঙ্গির ক্ষেত্রে কখনই এটি খাটে না।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষ যে রোগগুলিকে ভীষণভাবে ভয় পায়, সেগুলির মধ্যে ডেঙ্গি একটি। ক্রান্তীয় এবং উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলিতে এই রোগের প্রভাব মারাত্বক। এই রোগের মূল কারণ হল এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়। ডেঙ্গির জ্বরকে অনেকে 'ব্রেকবোন ফিভার'ও বলে থাকে। কারণ এই রোগে শরীরের হাড় এবং মাংসপেশিতে মারাত্বক যন্ত্রণা অনুভব হয়। সেই সঙ্গে কমতে থাকে শরীরের প্লেটলেট এবং প্লাজমা। এমনকী একটি পর্যায়ে এসে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধীরে ধীরে বিকল হতে থাকে।
মশার কামড়ের পরে চার থেকে চোদ্দ দিন পরে ডেঙ্গির উপসর্গগুলি দেখা যায়। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলির কোনওটাই আবার নাও দেখা যেতে পারে।
তবে অনেকেই মনে করেন ডেঙ্গি জীবনে একবারের বেশি হতে পারে না। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল। কারণ ডেঙ্গি ভাইরাস চার ধরনের হয়। যদি কোনও ব্যক্তি প্রথমবার যে কোনও একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তবে দ্বিতীয় বার অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই পারেন। সেই ক্ষেত্র্রে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
সুরভী বসু এরকমই একজন, যিনি দু'বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যেটি ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম খারাপ অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় বারের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "এই রোগের মতো ভয়ংকর হয়তো আর কিছু নেই। আমি চাইনা কোনও ব্যক্তি কোনওভাবে এই রোগে আক্রান্ত হন।" তাঁর মুখ থেকেই শুনে নিন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
সুরভীর অভিজ্ঞতা থেকে এটা একদম পরিষ্কার যে একটা মশাও মারাত্বক বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সাবধান!