রোজকার ব্যবহারের এই যন্ত্রই ডেকে আনছে বড় বিপদ। ছবি: সংগৃহীত
অচিরেই গোটা পৃথিবীর বড় অংশের মানুষের শ্রবণশক্তির অনেকটাই হ্রাস পাবে। অনেকের শ্রবণ ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর কারণ ইয়ারফোন বা হেডফোন। এমনই আশঙ্কা করছে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (হু)।
হালে হেডফোন বা ইয়ারফোনের মতো যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে ‘হু’। সেখানে দেখা গিয়েছে, ফোনের সঙ্গে এই যন্ত্র জুড়ে নিরন্তর ব্যবহারের ফলে ক্রমশ শোনার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে মানুষের। বিশেষ করে যাঁরা খুব ছোট বয়স থেকেই এই জাতীয় যন্ত্রের অতিরিক্ত ব্যবহার করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শোনার ক্ষমতা মারাত্মক হারে কমতে থাকে।
গবেষক দলের অন্যতম প্রধান চিকিৎসক ড্যানিয়েল ফিঙ্ক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘শোনার ক্ষমতা কমে গেলে, সেই বিষয়টিকে আমরা ততটাও গুরুত্ব দিই না। এটি যে পরবর্তী কালে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়, সে বিষয়েও আমাদের অনেকের ধারণা নেই।’’
ডিমেনশিয়ার মতো অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই হেডফোন।
কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে এর ফলে? চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শ্রবণশক্তি কমে গেলে ক্রমশ তা ডিমেনশিয়ার মতো অসুখ ডেকে আনে। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা দেখিয়েছেন, যাঁদের শোনার ক্ষমতা অল্প কমে, তাঁদের ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বাড়ে। যাঁদের শোনার ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা তিন গুণ বেড়ে যায়। আর যাঁরা শ্রবণশক্তি একেবারেই হারিয়ে ফেলেন, তাঁদের ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা প্রায় পাঁচ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
হেডফোন বা ইয়ারফোনের এই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আগামী সময়ে পৃথিবী ব্যাপী বড়সড় সমস্যার কারণ হতে চলেছে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।