Kunal Kapur Gets Divorce

স্ত্রীর অত্যাচারে জর্জরিত! বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় মাস্টারশেফ কুণাল কপূরকে সিলমোহর দিল হাই কোর্ট

‘মাস্টারশেফ’-এর বিচারক হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয় কুণাল। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় তাঁর। তার পর থেকেই তাঁ উপর নানা রকম ভাবে মানসিক অত্যাচার চালাতে শুরু করেন কুণালের স্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৪
Share:

মাস্টারশেফ কুণাল কপূর। ছবি: সংগৃহীত।

স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেলেন সেলেব্রিটি শেফ কুণাল কপূর। স্বামীর প্রতি অভব্য আচরণ, অপমান এবং অসম্মান করার জন্য বিচ্ছেদের মামলায় সিলমোহর দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। এমনকি আদালতে শুনানি চলাকালীন জনসমক্ষে কুণালের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি, যাকে অপরাধযোগ্য বলেই মনে করে আদালত। মঙ্গলবার, বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং নিনা বনশল কৃষ্ণ মঙ্গলের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।

Advertisement

‘মাস্টারশেফ’-এর বিচারক হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় কুণাল। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় তাঁর। তার পর থেকেই তার উপর নানা রকম ভাবে মানসিক অত্যাচার চালাতে শুরু করেন কুণালের স্ত্রী। মাঝেমধ্যেই তিনি ফোন করে বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনতেন। সমাজমাধ্যমেও কুণালের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যে অভিযোগ করতেন বলে জানা যায়। তাঁদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত অশান্তি নিয়ে কুণাালের স্ত্রী ‘মাস্টারশেফ’-এর শুটিংয়ের সেটেও হাজির হয়েছিলেন। যদিও সেই সমস্ত অভিযোগই তাঁর স্ত্রী অস্বীকার করেন। উল্টে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে তাঁর বিস্তর অভিযোগের কথা আদালতে জানান তিনি।

আদালত জানিয়েছে, দাম্পত্য জীবনে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মতবিরোধ যদি শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, একে অপরের সম্মানে আঘাত করে, তা হলে দাম্পত্য কখনওই সুখের হয় না। নিজের চেষ্টায় কুণাল নিজেকে যে জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তা থেকে প্রমাণিত হয়— তিনি পরিশ্রমী। এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যবহারে আদালত একেবারেই অসন্তুষ্ট নয়। কুণালের স্ত্রী, তাঁর স্বামীর সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছেন, তার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও দেখাতে পারেননি। মিথ্যে, ভিত্তিহীন অভিযোগ করে কারও সম্মান নষ্ট করাও এক ধরনের নিষ্ঠুরতা বলেই মনে করে আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement