Firecracker Scam

অনলাইনে সস্তায় বাজি অর্ডার দিচ্ছেন? সতর্ক না হলেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট

দীপাবলির ছাড়ের প্রলোভনে পা দিয়ে সস্তায় জামাকাপড়, রূপটান ও অন্দরসজ্জার জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তার মধ্যেই নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে বাজি বিক্রি নিয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১৭
Share:

অনলাইন কেনাকাটাতে কী বিপদ লুকিয়ে? প্রতীকী ছবি।

সাইবার জালিয়াতি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যেই দীপাবলির এই সময়ে অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে জালিয়াতরা। দীপাবলির ছাড়ের প্রলোভনে পা দিয়ে সস্তায় জামাকাপড়, রূপটান ও অন্দরসজ্জার জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তার মধ্যেই নতুন উৎপাত শুরু হয়েছে বাজি বিক্রি নিয়ে। কম খরচে আলোর বাজি বা সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে, এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে নানা ভুয়ো ওয়েবসাইট ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। সেই সব সাইট নিয়ে সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

তামিলনাড়ুতে এমন ঘটনা ঘটেছে। তার পরেই দেশের বিভিন্ন শহরে অনলাইনে বাজি বিক্রি নিয়ে সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নেটমাধ্যমে খুঁজলেই বিভিন্ন সবুজ বাজি ও আলোর বাজির বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি ওয়েবসাইট খুবই সস্তায় বাজি বিক্রির প্রলোভন দেখাচ্ছে। বাজি কেনার জন্য কিউআর কোডও দেওয়া থাকছে সেখানে। বিশেষজ্ঞদের মত, ওয়েবসাইটটি ভাল করে যাচাই না করে সেখানে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টাকা মেটাতে গেলে বা কিউআর কোড স্ক্যান করলে বিপদ হতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শব্দবাজি বিক্রি এমনিতেও নিষিদ্ধ। কেবল সবুজ বাজি বিক্রিতে ছাড় রয়েছে। কিন্তু বাজারে যে সব সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে, সে গুলি আসল না ভুয়ো, তা নিয়েও সংশয় আছে। তাই অনলাইনে বাজি বিক্রির নামে প্রতারণা চলছে কি না তা বুঝতেও পারবেন না সাধারণ মানুষ। আজকাল অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা সারেন। এই ধরনের ক্রেতাদেরই নিশানা করা হচ্ছে। দ্য টেলিগ্রাফ-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা অনলাইনে বাজি কেনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন শহরবাসীকে। কমিশনার জানিয়েছেন, অনলাইনে বাজি কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে। অনলাইনে বাজি বিক্রি এমনিতেও নিষিদ্ধ, তাই টাকাপয়সা দেওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। যদি কোনও ভাবে প্রতারিত হন, তা হলে দেরি না করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যত দ্রুত অভিযোগ দায়ের হবে, ততই তাড়াতাড়ি টাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

সাবধান থাকতে অনলাইনে এই সব ওয়েবসাইটে না খোলারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। যদি তেমন কোনও ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্ক পাঠানো হয় বা কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলা হয়, তা হলে ভুলেও করবেন না। এক বার লিঙ্ক খুলে ফেললে বা কিউআর কোড স্ক্যান করে ফেললে, আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি জালিয়াতদের হাতে চলে যেতে পারে। অথবা যদি কোড স্ক্যান করে টাকা পাঠিয়ে ফেলেন, তা হলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও চলে যাবে প্রতারকদের কব্জায়। তার পর অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিতে বেশি দেরি হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement