home cleaning

করোনার হানা কমেনি, বর্ষায় ঘরবাড়ি পরিষ্কারে এ সব বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন তো

কাদার ছাপ, স্যাঁতসেঁতে মেঝে বা দেওয়াল, বাড়িতে পোকামাকড়ের উৎপাত থেকে পরিত্রাণ পেতে এই বাদল দিনে কিছু মুনশিয়ানা প্রয়োজন পড়ে

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ১১:৩৬
Share:

বাড়তি সতর্কতা নিন ঘর পরিষ্কারের ক্ষেত্রে। ছবি: শাটারস্টক থেকে নেওয়া।

বর্ষায় এমনিতেই ঘরবাড়ির প্রতি আলাদা নজর দিতে হয়। তার উপর এ বছর বর্ষাতেও করোনা-কাঁটায় জর্জরিত সকলে। তাই ঘরকে জীবাণুমুক্ত রাখা একান্তই প্রয়োজন।সংক্রমণ এড়াতে কিছু বাড়তি সাবধানতা এ বছর নিতেই হবে।

Advertisement

ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে গৃহস্থের কাছে বর্ষা বেশ চিন্তার। কাদার ছাপ, স্যাঁতসেঁতে মেঝে বা দেওয়াল, বাড়িতে পোকামাকড়ের উৎপাত থেকে পরিত্রাণ পেতে এই বাদল দিনে কিছু মুনশিয়ানা প্রয়োজন পড়েই। অন্দরসজ্জাবিদ সৌগত মান্নার মত, ‘‘বর্ষায় মূলত সমস্যা হয় ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়ায়। আবহাওয়ার কারণে দেওয়াল ও মেঝে থেকেও নোনা উঠতে থাকে। এই সময় বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে কিছু কৌশলও প্রয়োজন হয়।

ঠিক কী উপায়ে ঘরবাড়ি থাকবে নতুনের মতো ঝকঝকে?

Advertisement

বর্ষা আসার মুখেই ভাল দেখে নিন বাড়ির ছাদ, মেঝে ও দুই দেওয়ালের সংযোগস্থল। কোথাও কোনও ফাটল বা আর্দ্রতা জমতে দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: ভিড় এড়িয়ে চলুন, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে করোনা, সতর্কতা হু-র​

আরও পড়ুন: বাইরে সংক্রমণের ভয়, ছাদে হাঁটলে কতটা কাজ হবে?​

প্রতি বছর বাড়ি রং করার অভ্যাস থাকলে বর্ষার আগেই তা সেরে ফেলতে হবে। রং করার উপায় না থাকলে অন্তত প্রাইমার কিংবা হোয়াইট ওয়াশ করিয়ে রাখতে পারেন। মেঝেরও প্রয়োজনীয় মেরামত করান।

দরজা ও জানলার ধার থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখুন কাঠের আসবাবদের। জলের ঝাঁট থেকে বাঁচাতে এটাই সেরা উপায়। বাড়িতে কাঠের কাজ চললে তাও কিন্তু শেষ করতে হবে বর্ষা পড়ার আগেই। প্রয়োজনে কাজ বর্ষা কালে বন্ধ রাখুন।

আরও পড়ুন: করোনার মৃদু উপসর্গে বাড়িতে থাকুন, তবে এগুলো মেনে চলতে ভুলবেন না​

বাড়িতে কার্পেট পাতার চল থাকলে কার্পেট গুটিয়ে রাখুন এই ঋতুতে। এতে কার্পেট ভিজে যাওয়ার ভয় কম থাকে। কাদার দাগ লাগার শঙ্কাও দূর হয়। এমনিতেই ভারী কার্পেট পরিষ্কার করা খুব কষ্টসাধ্য। একান্তই কার্পেট রাখতে চাইলে আজকাল বাজারে অনেক স্পঞ্জি, জল শোষণ ক্ষমতাযুক্ত কার্পেট পাওয়া যায়। বর্ষায় ব্যবহার করুন সে সব।

আরও পড়ুন: লকডাউনে মেজাজ হারাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা? বাবা-মা-শিক্ষকরা মনে রাখুন এ সব

আলমারির ভিতর স্যাঁতসেঁতে ভাব কাটাতে রাখুন জীবাণুনাশক ন্যাপথলিন। খানিকটা নিমপাতাও রাখতে পারেন, নিম এক দিকে যেমন জলীয় ভাব কাটায়, অন্য দিকে জোলো গন্ধ রুখতেও সাহায্য

ওয়ার, চাদর, পর্দা সব কিছুর বেলাতেই আস্থা রাখুন ড্রাই ক্লিনিংয়ে। রোজের কাচাকুচি কমিয়ে ড্রাই ক্লিনিংয়ে বরসা না রাখলে বর্ষায় না শুকিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে অচিরেই। সেখান থেকেও ব্যাকটিরিয়া সংক্রমিত হতে পার। তাই রোজের কাচাকুচি কমান। যেটুকু না কাচলেই নয়, সেটুকুই কাচুন।

রোজের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করেও এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে বর্ষা আসার আগেই সম্ভব হলে এক জন বিশেষজ্ঞ কারিগরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। গোটা বাড়ির অবস্থান ও পরিস্থিতি বুঝে তিনিই উপযুক্ত পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন। তাঁর উপদেশ মেনে নিন জরুরি ব্যবস্থা। বাড়ির মেরামতি বা নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে এও এক ভাল উপায়।

জোলো ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বাড়ির সদস্যদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখুন। ভুল করেও জল জমতে দেবেন না আশপাশে। মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় রুখতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। এক দিন অন্তর ব্লিচিং পাউডার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ান বাড়ির চার পাশে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement