প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে বরফ-গলা জলে মরুভূমিতে স্নান চলছে। সংবাদ সংস্থা
মরুভূমির মাথার উপর সূর্য তখন দপদপ করছে। প্রচন্ড গরম। তার মাঝে এক গামলা বরফের মধ্যে ধীরে ধীরে ডুব মারলেন দুবাইয়ের এক ব্যক্তি!
তাপমাত্রার চরম পার্থক্যে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, এমনই মত বিশেষ়জ্ঞদের। সুইৎজারল্যান্ডের বেনয়েট ডেমুলেমিস্টার আপাতত দুবাইয়ের বাসিন্দা। তিনি এই পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দেন। বরফ-জলে ডুব দেওয়ার সময় কী ভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে, শরীরকে চরম তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায় এবং প্রতিরোধশক্তি গড়ে তোলা যায়, সেই কায়দাই শেখাচ্ছেন বেনয়েট।
‘‘শরীরকে অল্প সময়ের জন্য চরম পরিস্থিতিতে ফেলতে পারলে প্রতিরোধ ক্ষমতা আখেরে বাড়বে। তাপমাত্রা ফারাকেই এটা করা সম্ভব,’’ বললেন বেনয়েট।
এই বরফ-গলা জলে ডুব দিতে প্রত্যেকদিন ছুটে আসছেন বহু দুবাইবাসী। এই পদ্ধতিতে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি মারওয়ান আবদেলাজিজ বললেন, ‘‘প্রথম দিকে বেশ ভয় করলেও এখন ভালই লাগছে। মনে হবে বেরিয়ে আসি, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।’’ বেনয়েট অবশ্য প্রত্যেককে সারাক্ষণ বলে দেন কী ভাবে শ্বাস নিলে অভিজ্ঞতাটা সহজ হতে পারে।
এই পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তোলেন নেদারল্যান্ডের উইম হফ। প্রাচীন তিব্বতি বৌদ্ধদের শ্বাস-প্রশ্বাসের কায়দা থেকেই উইম এই বরফ-গলা জলে স্নান করার সময়ে নিঃশ্বাসের কায়দাগুলো তৈরি করেছেন। বেনয়েট সেই নিয়ম মেনেই দুবাইয়ে এই ব্যবস্থা শুরু করেন। তিনি জানিয়েছন বয়স বা শারীরিক ক্ষমতা নির্বিশেষে যে কোনও মানুষের পক্ষেই এই পদ্ধতি কার্যকরী। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ভাবে স্নান করতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ানো যায়।
তার ডাকে সারা দিচ্ছেন শুধু দুবাইবাসীরাই না, সুদূর আমেরিকা থেকে পর্যটকেরা ভিড় করছেন মরুভূমির মাঝে বরফের মধ্যে শরীরে ডুবিয়ে দিতে।