‘হু’ জানিয়েছে, এখনও জানা যায়নি ব্যথার ওষুধ প্রতিষেধকের কাজের উপরে কী ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। ফাইল চিত্র
প্রতিষেধক নেওয়ার আগে ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। এমনই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাতে টিকার কাজ করার ক্ষমতা খানিক কমতে পারে বলেও বক্তব্য ‘হু’-এর।
তবে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে জ্বর, মাথাব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল বা অন্য ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এমনই জানিয়েছে হু, বক্তব্য ইউরোপের এক সংবাদসংস্থার।
বেশ কিছু দিন ধরেই নেটমাধ্যমে নানা ধরনের ভুয়ো পোস্ট ঘুরছে। তাতে বলা হচ্ছিল, করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার আগে কোনও ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিলে ভাল। তাতে টিকাকরণ পরবর্তী অসুস্থতা কম হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ‘হু’-এর ওই পোস্ট। সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘‘টিকা নেওয়ার আগে ব্যথার ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।’’
টিকাকরণের পরে খাওয়া যেতে পারে ওষুধ। ফাইল চিত্র
এই পরামর্শের কারণ হিসাবে ‘হু’ জানিয়েছে, এখনও জানা যায়নি ব্যথার ওষুধ প্রতিষেধকের কাজের উপরে কী ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে আগে থেকে তা না খাওয়াই ভাল। এই সংস্থার তরফে যোগ করা হয়, প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি তীব্র নয়। সামান্য জ্বর, ব্যথা, হাতে ফোলা ভাব দেখা দিচ্ছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এমন হলে তাও টিকাকরণের পরে খাওয়া যেতে পারে ওষুধ। তবে আগে থেকে সাবধানতার জন্য এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ এ সব ক্ষেত্রে বেশি খেতে থাকেন সকলে। সে সব সম্পর্কে ‘হু’-এ বক্তব্য, এই জাতীয় ওষুধ কিছু অ্যালার্জি হলে সারাতে পারে, তবে তা প্রতিরোধ করতে পারে বলেও প্রমাণ নেই। ফলে তা আগে থেকে খেয়েও লাভ হয় না।
যদি আগে থেকেই কারও এমন ওষুধ চলে, তবে তাঁরা কী করবেন?
এমন ক্ষেত্রে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই কাজ করতে হবে। তবে বিনা অসুস্থতায় ওষুধ শুরু করে লাভ হবে না। এমনই বক্তব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।