প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার অনলাইন। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
পোস্ট কোভিড সিনড্রোম কী?
করোনামুক্তদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যে কোনও একটা উপসর্গ রয়ে যাচ্ছে এক মাস পরেও। কিছু ক্ষেত্রে সেটা ক্লান্তি বা নিদ্রার অভাবের মতো মৃদু উপসর্গ, কিছু ক্ষেত্রে আবার শ্বাসকষ্টের মতো জটিল সমস্যাও। এই প্রবণতাকেই বলা হচ্ছে পোস্ট কোভিড সিনড্রোম বা লং কোভিড।
ব্রিটেনে হালের গবেষণা বলছে অন্তত ১০ লক্ষ কোভিডর রোগী লং কোভিডে ভুগছেন।
কাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে?
বেশির ভাগ মানুষ কোভিড হওয়ার পর ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু অনেকের বেশ কিছু উপসর্গ থেকে যাচ্ছে ৫-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত। এটাই পোস্ট কোভিড সিনড্রোমের প্রথম লক্ষণ বলা যেতে পারে। বেশ কিছু গবেষেণায় দেখা গিয়েছে একটু ভারী চেহারার মেয়েদের বা ৫০ বছরের উপর যাঁরা, তাঁদের মধ্যে পোস্ট কোভিড সিনড্রোম বেশি দেখা যাচ্ছে।
প্রতীকী ছবি।
কতদিন থাকে এই প্রবণতা?
এক-দেড় মাস পর অনেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যান। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্তও তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।
কী করে সামলাবেন?
লং কোভিডের প্রবণতা কেন কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তার এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। তাই চিকিৎসার পদ্ধতিও এখন সীমিত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, হাল্কা ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে আরও কঠিন ব্যায়াম করে শরীরের বল বাড়াতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কিছুদিন অনুযায়ী শরীরের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া অতি আবশ্যিক। ফুসফুসের কোনও গুরুতর ক্ষতি হলে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হবে।