কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে বিমানযাত্রার আগে কোন কোন বিষয় খেয়াল রাখবেন?
কোভিডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে ক্লান্ত পৃথিবী। যে লড়াই নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরেও জারি থাকে বহুদিন। তবে আপনি একা নন। সেই লড়াইয়ে আপনার সঙ্গে আছে আনন্দবাজার অনলাইন। শরীরচর্চা, মনের যত্ন এবং খাওয়া-দাওয়ার গাইড ‘ভাল থাকুন’।
কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর কাজের প্রয়োজনেই হোক, কিংবা নির্ভেজাল বেড়াতেই হোক— বিমানযাত্রা করতে হতে পারে আপনাকে। কিন্তু এ রকম একটা সময়ে বিমান যাত্রা কি আদৌ নিরাপদ?
একটা কথা মনে রাখা দরকার, কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানেই কোভিডের প্রতিরোধ শক্তি শরীর পাকাপাকি ভাবে পেয়ে গেল, তা নয়। এর পরে আবার কোভিড হতে পারে। শুধু তাই নয়, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল অবস্থায় থাকে। ফলে চট করে অন্য অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর বিমানবন্দরে সেই আশঙ্কার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। কারণ বিমানবন্দরে নানা জায়গার মানুষ আসার ফলে এখানে নানা ধরনের জীবাণুর পরিমাণ বেশি।
সে ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজনে বিমানযাত্রা করতে হলে কী কী করবেন? মনে রাখুন কয়েকটি বিষয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: বিমানবন্দরে ভিড় এড়িয়ে চলুন। যে সব জায়গায় বেশি লোকজন রয়েছেন, সে দিকে যাবেন না। অন্যদের থেকে যেমন নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন, তেমনই নিজের শরীরের জীবাণুও যাতে অন্যের শরীরে না ছড়ায়, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
মাস্ক খুলবেন না: বিমানবন্দরের ভিতর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। ফলে বাইরের বাতাস ঢোকে না। ভিতরের বাতাসে জীবাণুরা ঘুরপাক খায়। তাই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। ফলে ভিতরে মাস্ক খুলবেন না।
বিমানযাত্রায় অতিরিক্ত সাবধান হতে হবে।
মালপত্রের সংখ্যা কম: যতটুকু জিনিস না নিলেই নয়, ততটুকু মালপত্র নিয়ে যান। কারণ যত বেশি জিনিস, তার মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কা তত বেশি।
আসন নির্বাচন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি। বিমানের ভিতের আসন নির্বাচন করুন এমন ভাবে, যাতে সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে কমে। আসনের মাঝখান দিয়ে চলাচলের পথের দু’ধারের আসনগুলিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। কারণ নিরন্তর অন্য মানুষের গায়ের স্পর্শ লাগে এই আসনগুলিতে বসলে। ফলে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে বিমানযাত্রার সময়ে এই আসন এড়িয়ে চলুন।