জানু নমন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
কী
জানু নমন
এর আর এক নাম ‘নি বেন্ডিং’। হাঁটু অর্থাৎ নি-জয়েন্ট শরীরের প্রধান ভারবাহী অস্থিসন্ধি, অথচ এখানে এমন কোনও শক্তিশালী পেশি নেই যা এই অস্থিসন্ধিকে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই এই অস্থিসন্ধিতে চোট লাগার ঝুঁকি বেশি, সেই সঙ্গে ক্ষয়জনিত অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার প্রবণতাও থাকে।
কেমন করে
ম্যাটের উপর দুই পা টানটান করে ছড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এবারে ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করুন। দু’হাতের আঙুল ইন্টারলক করে ঊরুর পিছন থেকে ভাঁজ করা হাঁটু বুকে ঠেকান। তবে কোনও অবস্থাতেই জোর করবেন না। বাম পায়ের হাঁটু ভাঁজ না করে মাটির উপরে তুলুন। কোনও চাপ নেবেন না।
এবারে হাত ছেড়ে পাশে রাখুন ও পা সোজা করে মাটি থেকে কিছুটা উপরে তুলে সোজা করে রাখুন। তার পর আবার স্বাভাবিক পজিশনে ফিরে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ৫-৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। ডান পায়ের জন্যে। পা ভাঁজ করার সময় শ্বাস ছাড়বেন ও সোজা করার সময় শ্বাস নেবেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে মনখারাপ? যা খুশি খাবেন না, ওজন বাড়লেই বিপদ
একই নিয়মে বাম পা ভাঁজ করে ও সোজা করে অভ্যেস করতে হবে। অভ্যাস করার পর কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখুন। আসন করার সময় হাঁটুর দিকে মনোযোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে লকডাউনেও জামা-কাপড় বদলান, কাচুন ঘন ঘন
কেন
এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে হাঁটুর কোয়াড্রিসেপস পেশি সবল হবে। ফলে হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে কম চাপ পড়বে। এর ফলে হাঁটুর অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বাড়বে। নি-জয়েন্টে থাকা বিশেষ ফ্লুইড (যা হাঁটুকে নানান ঘাত-প্রতিঘাত থেকে বাঁচায়) নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকবে এবং হ্যামস্ট্রিং ভাল থাকবে। এই আসন অভ্যেস করলে হাঁটুর ক্ষয়জনিত বাত অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করা যায়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)