exercises

২১তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস

লকডাউনে সারা দিন শুধু মোবাইলে চোখ রাখা, নয়তো টিভির পর্দায় চোখ। অন্য দিনের তুলনায় চোখের কাজ অনেক বেড়ে গিয়েছে। অতএব তাকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন কিছু ব্যায়ামের। আজ ২১তম দিনে রইল সে সবের হদিশ।লকডাউনে সারা দিন শুধু মোবাইলে চোখ রাখা, নয়তো টিভির পর্দায় চোখ। অন্য দিনের তুলনায় চোখের কাজ অনেক বেড়ে গিয়েছে। অতএব তাকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন কিছু ব্যায়ামের। আজ ২১তম দিনে রইল সে সবের হদিশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১১:৪৬
Share:

পামিং ও ব্লিঙ্কিং‌। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।

পামিং ও ব্লিঙ্কিং

Advertisement

পামিং ও ব্লিঙ্কিংয়ের অর্থ, করতল চাপা দিয়ে চোখ পিটপিট করা। আমরা শুধুই যে চোখ দিয়ে দেখি তা নয়, দেখতে সাহায্য করে মস্তিষ্কও। কোনও জিনিস চোখে দেখার পর মস্তিষ্ক জিনিসটির আকার সম্পর্কে ধারণা দেয়। বেশির ভাগ মানুষেরই ধারণা, দৃষ্টিশক্তির ক্রমশ অবনতি হয়, উন্নত করা সম্ভব নয়। কিন্তু চোখকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করলে অবশ্যই দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করা সম্ভব।

কী ভাবে করব এই ব্যায়াম দু’টি

Advertisement

এক নম্বর ব্যায়াম

পামিং

দু’হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ম্যাটের সোজা হয়ে শান্ত মনে বসুন। এ বার দুই হাত নাগাড়ে ঘষতে হবে যতক্ষ ণ না করতল গরম হচ্ছে। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে চোখে আলতো করে চাপা দিন। খেয়াল রাখবেন যেন চাপ না পড়ে। এ বার অনুভব করার চেষ্টা করুন গরম করতলের শক্তি হাত থেকে চোখে সঞ্চারিত হয়ে চোখের চারপাশের পেশি আরাম পাচ্ছে। এই সময় চোখ অন্ধকারে বিশ্রাম ও আরাম পায়। যত ক্ষণ পর্যন্ত হাতের গরম চোখে সঞ্চারিত হচ্ছে তত ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন। এ বার চোখ বন্ধ অবস্থাতেই হাত নামিয়ে নিন। একই ভাবে দু’হাতের করতল ঘষে গরম করে চোখ চাপা দিন। খেয়াল রাখবেন যেন আঙুলের চাপ চোখে না লাগে, আলতো করে হাত রাখতে হবে। তিন বার এইভাবে অভ্যাস করুন।

আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে যক্ষ্মার টিকা কি কিছুটা নিরাপত্তা দিতে পারে?

দুই নম্বর ব্যায়াম

ম্যাটের উপর বসে চোখ খুলে রেখে দ্রুত ১০ বার চোখ পিটপিট

চোখ বন্ধ করে ২০ সেকেন্ড বসুন। এ বার চোখ খুলে দ্রুত ভাবে চোখ খুলুন ও বন্ধ করুন ১০ বার। এর পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিয়ে ৫ বার অভ্যাস করুন।

কেন করব?

চোখ ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক অত্যন্ত জটিল ও একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আমরা না জেনেই চোখকে অবহেলা করি। রাতে বই পড়া, টেলিভিশন দেখা, মোবাইল ব্যবহার করা তো আছেই। এ ছাড়া কোনও রকম বিশ্রাম ছাড়াই নাগাড়ে কম্পিউটারে কাজ করি। চোখের উপর যে চাপ পড়ে তার প্রভাব সরাসরি পড়ে মস্তিষ্কের উপর।

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় এ বার ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’, এটি কেমন পদ্ধতি? কতটা লাভ হবে?

পামিং করা হলে চোখের পেশী কিছুটা উষ্ণতা পায় ও আরামদায়ক অনুভুতি হয়। কর্নিয়াকে ঠিক রাখার জন্য যে তরল নিঃসৃত হয় পামিংয়ের ফলে তার ক্ষরণ বাড়ে। ফলে চোখ ভাল থাকে। মোদ্দা কথা, চোখের ভিজে ভাব বজায় রাখা। দৃষ্টির অসাম্য হলে চোখের পাতা পড়ার ব্যাপারটা অনিয়মিত হয়ে যায়। এর ফলে চোখে বেশি চাপ পড়ে। এই ব্যায়াম অভ্যাস করলে চোখের পেশী ব্লিংকিং রিফ্লেক্স স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement