হস্ত উত্থানাসন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ফুসফুসের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। ফলে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। ডেস্কে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে প্রচণ্ড দমবন্ধ হয়ে আসে কিংবা হাত পায়ে ব্যথা করতে থাকে অনেকেরই। করোনা আবহে কাজের সময় বেড়ে গিয়েছে। তাই খুব সহজেই একটি আসন অভ্যাস করা যায়। এটি অভ্যাস করলে বুক ও পাঁজর সর্বোচ্চ বিস্তৃত হয়। শরীর সতেজ থাকে
হস্ত উত্থানাসন, পরিবর্তিত ভঙ্গিমা
দুই হাত উপরের দিকে তুলে দাঁড়ানোই এই আসনের মূল বিষয়। জটিলতা বর্জিত অত্যন্ত সহজ-সরল অথচ শক্তিশালী একটি ভঙ্গি। উপরের দিকে হাত তুলে আলোর উৎস সূর্যের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগকে স্বীকৃতি দেওয়াই হস্ত উত্থানাসনের উদ্দেশ্য।
কী ভাবে করব
• ম্যাটের উপর পা আরামদায়ক ভাবে জড়ো করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই হাত থাকুক পাশে। শিরদাঁড়া টানটান রাখুন। মাথা ও ঘাড় থাকুক মেরুদণ্ডের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে একই সরল রেখায়। এ বার চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। এটি শুরুর ধাপ।
• মনে মনে শরীর এক সরলরেখায় বিন্যস্ত করার পাশাপাশি অবিচলিত থাকুন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শরীর শিথিল করতে হবে।
• ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলুন। এই অবস্থায় পিছন দিকে সামান্য হেলতে হবে। অনুভব করতে পারবেন শরীরের সামনের দিকে টান পড়ছে। এই অবস্থায় কয়েক সেকেন্ড থাকতে হবে।
• এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সোজা হয়ে দাঁড়ান, দু’হাত নামিয়ে পাশে রাখুন। অর্থাৎ শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে সাত রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে কী কী প্রয়োজন? কী বললেন চিকিৎসকেরা?
কেন করব
হস্ত উত্থানাসনের এই বিশেষ ভঙ্গি আসলে অত্যন্ত সহজ হলেও এর অজস্র উপকার আছে। এই আসন অভ্যাস করলে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে হাতের সঞ্চালন নির্দিষ্ট ছন্দে আবদ্ধ হয়। বুক ও পাঁজর সর্বোচ্চ বিস্তৃত হয়। ফুসফুসের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং এই সময় ফুসফুস সর্বাধিক অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। পিছন দিকে হেলার ফলে মেরুদণ্ড টানটান হয়।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে গড়ে ওঠা নতুন অভ্যাসে অজান্তেই এই সব উপকার হচ্ছে, জানতেন!
সমগ্র পেট বিস্তৃত হয় বলে পেটের অভ্যন্তরের হজমে সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়ে। হাতের পেশী টানটান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত শরীরে একটা তরতাজা ভাব আসে। যারা দীর্ঘ ক্ষণ ডেস্কে বসে কাজ করেন এই আসনটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।