কটি চক্রাসন।
ছুটি অথচ ছুটি নয়। বাধ্যতামূলক এই কর্মবিরতির ফাঁকে শরীরকে সচল রাখতে কিছু যোগব্যায়াম। আপনাদের জন্য। আজ তৃতীয় দিন।
কী
কটি চক্রাসন
দাঁড়ানো আসনের মধ্যে কটি চক্রাসন এমনই একটি আসন, যেখানে শিরদাঁড়া টান টান রেখে নিজের কক্ষপথে কোমর ঘোরাতে হয়। টুইস্টিং আসনের মধ্যে কটি চক্রাসন সরলতম। ‘কটি’ শব্দের অর্থ কোমর। আর হালকা ভাবে বলতে গেলে ‘চক্র’ শব্দের অর্থ চাকার মত ঘূর্ণন বা গোল হয়ে ঘোরা। সনাতন তিনটি দাঁড়ানো আসনের মধ্যে এটি তৃতীয়। (তড়াসন, তির্যক তড়াসন ও কটি চক্রাসন)।
কী ভাবে
· ম্যাটের ওপর ঋজু হয়ে দুই পা ফাঁক করা দাঁড়ান। দুই পায়ের দুরত্ব যেন কাঁধ বরাবর হয়। হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখুন। এ বারে চোখ বন্ধ করে শরীর শিথিল করে দাঁড়ান। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এ বারে চোখ খুলুন।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে লকডাউনেও জামা-কাপড় বদলান, কাচুন ঘন ঘন
· এবারে দু’পাশে দু’হাত কাঁধ বরাবর সোজা করে ছড়িয়ে দিন, হাতের তালু যেন মেঝের দিকে থাকে।
· এবারে নিশ্বাস ছেড়ে ডান হাত ভাঁজ করে বাম কাঁধে রাখুন ও কোমর বাম দিকে ঘোরান। এই অবস্থায় বাম হাত কোমরে পিছন দিক থেকে ডান দিকে বেড় দিয়ে রাখুন।
· এই অবস্থায় বাম কাঁধের দিকে তাকান। খেয়াল রাখবেন, পা যেন মাটি থেকে কোনও ভাবে উঠে না পড়ে। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
· এরপর শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন। অর্থাৎ হাত কাঁধের পাশে ছড়িয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন: লকডাউনেও যেতে হচ্ছে বাজার, কী ভাবে আটকাবেন সংক্রমণ?
· একই ভাবে ডান দিকে ঘুরে অভ্যেস করুন। অর্থাৎ বাম হাত ডান কাঁধে রেখে ডান কোমরের পিছনে রেখে কোমর ঘোরান ও ডান কাঁধের দিকে দৃষ্টি রাখুন। অনুভব করবেন, একই সঙ্গে আপনার ঘাড়ও টুইস্ট করছে। গোড়ালি মাটিতে যেন ঠেকে থাকে খেয়াল রাখতে হবে।
· দু’দিকে ঘোরার পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এক রাউন্ড সম্পুর্ণ হল। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যেস করতে হবে।
কেন
· এই আসনটি অভ্যেস করলে পিঠের স্টিফনেস কমবে একই সঙ্গে পশ্চারাল কারেকশন হবে। এছাড়া কোমরের ও নিতম্বের মেদ ঝরবে ও পেটের পেশির টোনিং হবে। নিয়মিত অভ্যেস করলে কিছুটা হালকা বোধ করবেন, পিঠ সহ মেরুদণ্ডের স্টিফনেস কমে যাওয়ায় মানসিক চাপ কমবে। আসন অভ্যাস করুন, ভাল থাকুন।