চেয়ার যোগ, টো কার্লস। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চেয়ার যোগ, টো কার্লস অর্থাৎ পায়ের বুড়ো আঙুল নাড়ানো
পায়ের বুড়ো আঙুল নাড়ানোর কথা শুনলে প্রাথমিক ভাবে অনেকেই একটু চমকে উঠতে পারেন। কিন্তু শরীরের এই অবহেলিত অঙ্গটি আমাদের স্বাভাবিক হাঁটা চলায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। হাঁটা চলা ও দৌড়নোর সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। নিয়মিত টো কার্লস করলে আঙুলের পেশী উজ্জীবিত থাকে। তাই সহজ এই আসনটি নিয়মিত অভ্যাস করবেন।
কী ভাবে করব
• মাটিতে দুই পা রেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় টানটান রাখুন। দুই হাত থাকবে ঊরুর উপর। চোখ বন্ধ করে মন শান্ত রেখে বসুন। এই হল আসনটি শুরুর অবস্থান।
• এ বারে দুই পা সামনে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দিন। পিঠ, কোমর বা ঘাড় যেন বেঁকে না যায় খেয়াল রাখবেন। হাঁটুও সোজা থাকবে।
আরও পড়ুন:৮৬তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• এই অবস্থানে গোড়ালিতে ভর দিয়ে দুই পায়ের পাতা একসঙ্গে উঁচু করুন। মনে রাখবেন গোড়ালি মাটিতে থাকবে।
• দরকার মনে করলে গোড়ালির নিচে কুশন রাখতে পারেন। বিশেষ করে যাঁদের গোড়ালিতে ব্যথা আছে তাঁরা কুশন রেখে সহজ ভাবে আসনটি অভ্যাস করতে পারবেন।
• এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল একসঙ্গে পেছন দিকে আনুন। বুড়ো আঙুলের সঙ্গে অন্যান্য আঙুলও পেছন দিকে হেলে যাবে। তাতে অসুবিধে নেই।
• এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থেকে শ্বাস ছেড়ে আঙুল সোজা করুন।
• আবার শ্বাস নিতে নিতে আঙুল নিচের দিকে মুড়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যেটুকু সম্ভব হবে সেটুকুই অভ্যাস করবেন। কয়েক সেকেন্ড পর আবার আঙুল সোজা করুন। এক রাউন্ড হল। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। আসনটি অভ্যাস করার সময় খেয়াল রাখবেন গোড়ালি যেন এক জায়গায় স্থির থাকে, মাটি থেকে সরে না যায়।
আরও পড়ুন: ৮৫তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
নিয়মিত টো কার্লস বা পায়ের বুড়ো আঙুল নাড়ানো অভ্যাস করলে পায়ের পাতার পেশী উজ্জীবিত হয়। জড়তা কাটিয়ে ফেলে ব্যথা-বেদনার হাত এড়ানো যায়। পা ও গোড়ালির ব্যথা কমাতে এই আসনটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। আর্থ্রাইটিস থাকলে তো বটেই, ডায়াবিটিস ও তার কারণে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থাকলে আসনটি নিয়মিত অভ্যাস করা উচিত। কেননা, ডায়াবিটিসে পায়ের রক্তচলাচল কমে গিয়ে নানা সমস্যা, এমনকি আলসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নিয়ম করে টো কার্লস অভ্যাস করলে পায়ের পাতা স্বাস্থ্যজ্জ্বল থাকে। হাঁটাচলা, দৌড়-ঝাঁপ ও লাফালাফি করতে সুবিধে হয়।