সুখাসন। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
সুখাসন
সংষ্কৃত শব্দ ‘সুখ’ এর অর্থ ‘সহজ’ বা ‘আরামদায়ক’। সহজ ও আরামদায়ক ভঙ্গিমায় করা হয় বলেই আসনটির এই নামকরণ। সুখাসন আসলে পা মুড়ে আরাম করে বসার এক চেনা ভঙ্গি। এটি অত্যন্ত প্রাচীন যোগাসন। মূলত ধ্যান করার সময় এই ভাবে বসা হয়।
কী ভাবে করব
• ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসুন। দুই পা সোজা করে সামনে ছড়িয়ে দিন। যাঁদের হাঁটু আর কোমর স্টিফ হয়ে আছে, তাঁরা একটা ছোট কুশন নিতম্বের নীচে রাখুন। এর ফলে বসতে সুবিধে হবে।
• ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর নীচে রাখুন। একই ভাবে বাঁ পা মুড়ে ডান ঊরুর নীচে রেখে সোজা হয়ে বসুন।
আরও পড়ুন: ৫৬তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• দু’হাতের আঙুল জ্ঞানমুদ্রা বা চিনমুদ্রার ভঙ্গিতে এনে দুই হাঁটুর উপর রাখুন।
• হাত সোজা থাকবে, শরীরের উপরের অংশও ভাবে টানটান রাখুন। বেশি টেনশন না নিয়ে রিল্যাক্স থাকুন।
• হাঁটুর উপরে থাকা হাত আরামদায়ক ভাবে কনুই থেকে সামান্য ভাঁজ করে রাখতে পারেন।
• এই অবস্থানে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিন ও চোখ বন্ধ করে ২ – ৩ মিনিট বসে থাকুন। সময় পেলে আরও বেশি সময় সুখাসনে বসে থাকতে পারেন। তবে নাগাড়ে পা মুড়ে বসে থাকলে অসুবিধে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুই পা ছড়িয়ে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে আবার সুখাসনে বসুন।
সতর্কতা
যাঁরা হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে সুখাসনে বসে থাকবেন না। যাদের হাঁটু স্টিফ হয়ে গেছে তাঁরা এই আসন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ৫৫তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
সুখাসন একটি অত্যন্ত সহজ সরল আসন। মেডিটেশন বা ধ্যানের এক অত্যন্ত সরল ও পরিচিত পদ্ধতি এই সুখাসন। কোনও চাপ বা কষ্টকর ভঙ্গি না করেই এই আসনটি অভ্যাস করলে শরীর মনের ক্লান্তি ও চাপ দূর হয়। নিয়মিত সুখাসন অভ্যাস করলে মন শান্ত হয়। রাগ, ভয়, দুঃখ, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় থাকে। নিয়মিত আসন করুন, ভাল থাকুন।