প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ আর তার জেরে বিশ্ব জুড়ে মৃতের সংখ্যা যে ভাবে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, তাতে একটা প্রশ্নই এখন সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটা হল, আমরা কি পারব এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সঙ্গে যুঝে উঠতে? আমরা এই যুদ্ধে হেরে যাব নাকি জিতব? সেই জয়-পরাজয়ের ফয়সালা হতে কতটা সময় লাগবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব জোর গলায় এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দেওয়া যাবে না। কারণ, তেমন প্রত্যয়ী জবাবের জন্য যতটা সময় লাগে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এখনও সেই সময়টা পাওয়া যায়নি। তবে ভাইরাস সম্পর্কে আগের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁদের অনুমান, এখন যে বিধ্বংসী রূপে দেখা যাচ্ছে কোভিড ১৯-কে, তিন থেকে ৬ মাস পর হয়তো তার সেই আক্রমণ অনেকটাই ভোঁতা হয়ে যাবে।
কী ভাবে? টিকা, ওযুধে?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, ‘‘চট করে কোভিড-১৯-এর ওষুধ বা টিকা বাজারে আনা সম্ভব হবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ, তার জন্য এই ভাইরাস কী ভাবে তার আচার, আচরণ, চেহারা, পরিকাঠামো বদলায়, তা বুঝতে অন্তত ৬ থেকে ৯ মাস সময় তো লাগবেই। সেই গবেষণা শেষ হলে তার ভিত্তিতে তৈরি হবে ওষুধ বা টিকা। করোনাভাইরাস আবার খুব দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলছে। তাই একে বুঝে ওঠা আরও কঠিন। ওষুধ বা টিকা বাজারে আনার আগে পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রয়োজন। তার জন্যও যথেষ্ট সময় লাগবে।’’
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোভিড-১৯-এর ওষুধ বা টিকা বাজারে আসার আগেই হয়তো করোনাভাইরাসের আক্রমণ অনেকটা ভোঁতা হয়ে যাবে।
কী ভাবে ভোঁতা হবে আক্রমণ?
অরিন্দমের কথায়, ‘‘আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাই হয়তো এই ভাইরাসকে রোখার রাস্তা বের করে ফেলবে। আচমকা হানায় এখন কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা। কিন্তু একটা সময় পর এই ভাইরাসকে রোখার রাস্তাটা নিজেই খুঁজে বের করে ফেলতে পারে আমাদের দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থা।’’
আরও পড়ুন- করোনা প্রতিরোধী হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের রফতানি নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র
আরও পড়ুন- সরকার চাইলে ইডেনে কোয়রান্টিন কেন্দ্র, প্রস্তাব দিলেন সৌরভ
সেই সময়টা কত দিন হতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা নির্ভুল ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যেই এটা হতে পারে।
‘‘ভাইরাস সম্পর্কে আগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এটা অনুমান করছি’’, বলছেন অরিন্দম।