এই প্রচণ্ড গরমে ফল আর শাকসব্জি বেশি খেতে হবে। - ফাইল ছবি।
আবহবিদরা আগেই বলেছিলেন, এ বার গরমের দাপট আরও বাড়বে। শীত যেমন জাঁকিয়ে পড়েছিল, এ বার গরমও আমাদের কাহিল করবে ততটাই। কিন্তু এ বারের গরমে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য যা যা খুব প্রয়োজনীয়, সেই ফল বা তাজা শাকসব্জি কিন্তু এ বার বাজারে মিলছে না। করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন জারি থাকার জন্য। ট্রাক চলছে না বলে ভিন রাজ্য বা অন্যান্য জেলা থেকে ফল বা শাকসব্জির কোনওটাই আসছে না।
তাই এ বারের গরমে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য ফল ও শাকসব্জি যা যা এবং যতটা খাওয়া উচিত, চাইলেও তা বাজারে মিলবে না। এই সময় স্যালাড বা ফলের রস খেলে খুব ভাল হত। কিন্তু এই লকডাউনের সময় সে সব বোধহয় বিলাসিতাই। এ সব সত্ত্বেও এ বারের গরমে অসুস্থ হওয়া চলবে না। কারণ, অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হবেন কোথায়? বেশির ভাগ হাসপাতালেরই আউটডোর বন্ধ। ডাক্তার-ওষুধ সবই অমিল।
তাই এই পরিস্থিততে অন্তত প্রচুর পরিমাণে জল খেতে ভুলবেন না। বাড়িতে থাকলেও প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কারণ, প্রচণ্ড আর্দ্রতার জন্য আমাদের এখন প্রচুর পরিমাণে ঘাম হচ্ছে। তার ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। শরীরকে সেই জলটা ফিরিয়ে না দিতে পারলে মুশকিল। তাই অন্য কোনও কারণে ডাক্তারের বারণ না থাকলে সারা দিনে জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
আরও পড়ুন- লকডাউনে বাড়ির লোকজনকে কী ভাবে সময় দেবেন?
আরও পড়ুন- পরোক্ষে ঘ্রাণশক্তিকে নষ্ট করে কোভিড-১৯, জানাল গবেষণা
আর লকডাউনের সময়কার যাবতীয় অসুবিধা সত্ত্বেও ফল বা শাকসব্জি যতটা সম্ভব খাওয়া যায়, খান। বাজারে যেটুকু ফল বা শাকসব্জি পাওয়া যাচ্ছে, সেটুকু কাজে লাগান। রান্না করুন একেবারে হালকা করে। অতিরিক্ত তেল বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। কাঁচা আম, শসা, লাউ, ঝিঙে, পটল, কলমি শাক, পাট শাক পেলে অবশ্যই খান। তবে ভালো করে না ধুয়ে নিয়ে কখনওই খাবেন না শাকসব্জি।
আর রান্নাবান্নায় জিরে, ধনে, আদা, মৌরির মতো মশলাপাতির ব্যবহার আদৌ বন্ধ করবেন না। রসুন শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। তাই অবশ্যই রসুন খাবেন। এ ছাড়াও, সকালে উঠে জোয়ান ভেজানো জল খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। তাতে হজমের সমস্যা এড়ানো যায়। ফলে, পেটের গন্ডগোলের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)