Lifestyle Section

করোনা উদ্বেগ: বাইরে থেকে ফিরেই আমাদের কী কী করতে হবে?

কী ভাবে বাঁচাব আমাদের বাড়ির লোকজনদের? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ১৪:৫৮
Share:

বাড়ির লোকজনকে বাঁচাতে কী করণীয়? -ফাইল ছবি।

লকডাউন চলছে। চলবে আরও বেশ কয়েক দিন। কিন্তু সকালে অন্তত বাজারটুকু করতে তো আমাকে, আপনাকে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও বাড়ি থেকে বেরতে হচ্ছে। খুব প্রয়োজনে ছুটে যেতেই হচ্ছে ওষুধের দোকান বা ডাক্তারের চেম্বারে।

Advertisement

সে ক্ষেত্রে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস পরে বেরলেও ফেরার পর তো আমাদের থেকে বাড়ির লোকজনের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়। তা থেকে কী ভাবে বাঁচাব আমাদের বাড়ির লোকজনদের?

এ ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাস জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার পরেই কয়েকটি নিয়ম বাধ্যতামূলক ভাবে আমাদের মেনে চলতে হবে। আমাদের পরিবারের লোকজনকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে। তাঁর কথায়, ‘‘নিয়মগুলি একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। কোনও ধাপ ভুলে গেলে চলবে না।’’

Advertisement

বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরেই কী কী করতে হবে?

অরিন্দম যে ধাপগুলির কথা জানিয়েছেন, সেগুলি হল:

সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করলে বাড়ি ফিরেই সেটিকে নির্দিষ্ট জায়গায় বর্জন করতে হবে। ওই মাস্ক আর ব্যবহার করা যাবে না। বাইরে থেকে ফেরার পর প্রত্যেকটি মাস্ক বাড়ির একটি জায়গায় ফেলতে হবে। মাস্কগুলিকে নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা যাবে না। এর পর দু’টি হাত সাবান/স্যানিটাইজার দিয়ে খুব ভাল ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তার পর ঢুকে যেতে হবে বাথরুমে। সেখানে গিয়ে পোশাক ছাড়তে হবে। ভাল ভাবে স্নান করতে হবে। নতুন পোশাক পরে বাড়ির অন্যদের মুখোমুখি হতে হবে।

আরও পড়ুন- করোনা প্রতিরোধী হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের রফতানি নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

আরও পড়ুন- সরকার চাইলে ইডেনে কোয়রান্টিন কেন্দ্র, প্রস্তাব দিলেন সৌরভ​

অরিন্দম এও জানিয়েছেন, মাস্ক যদি একেবারে সাধারণ না হয়, সেটা যদি হয় সার্জিক্যাল মাস্ক, তা হলে বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পর সেই সার্জিক্যাল মাস্ক আর ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেই সার্জিক্যাল মাস্ক, ডেটল বা স্যাভলন অথবা গরম জলে ধুয়ে নিলেও চলবে।

চিকিৎসকদের বক্তব্য, এই নিয়মগুলি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেই বাইরে থেকে বাড়িতে ফেরার পর পরিবারের লোকজনদের সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতে পারব আমরা। না হলে বিপদটা কিন্তু থেকেই যাবে।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement