এখন পরিবারকে ভাল ভাবে সময় দিতে হবে। ছবি শাটারস্টকের সৌজন্যে।
লকডাউনের সময় এখন আমাদের সকলকেই গৃহবন্দি থাকতে হচ্ছে। তাতে নানা ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে, আমরা মানসিক ভাবে কিছুটা অবসাদগ্রস্তও হয়ে পড়ছি। তাই পরিবারের লোকজনকে খুব ভাল ভাবে সময় দেওয়ার এটাই সেরা সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। এই সময়েই আমরা বাড়ির সব কাজ ভাগ বাঁটোয়ারা করে সকলে মিলে করার শিক্ষা নিতে পারি।
এতে যেমন আমাদের বাড়িতে থাকার একঘেঁয়েমি কেটে যাবে, তেমনই আমরা বাড়ির যে কাজগুলিকে এত দিন এড়িয়ে চলতাম, সেই কাজগুলি করানোর জন্য নির্ভর করতাম পরিচারক, পরিচারিকা বা অন্যদের উপর, লকডাউনের সুবাদে এ বার সেই কাজগুলিতেও আমরা রপ্ত হয়ে উঠতে পারি। এত দিন রান্নাবান্না করতে না জানলে এ বার রান্নার অনেক খুঁটিনাটি কৌশলও আমরা শিখে ফেলতে পারি।
আমাদের কেউ কেউ বাড়ি ও নিজেদের জামাকাপড় পরিষ্কার করার ব্যাপারে এত দিন উদাসীনতা দেখিয়ে থাকতে পারি। এ ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করে এসেছি পরিচারক, পরিচারিকা ও রান্নার লোকের উপর। বড় চাকরি করেন বলে বাড়ির ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও মোছার কথা হয়তো আমাদের কেউ কেউ ভাবতেও পারেননি এত দিন। এ বার লকডাউনে বাড়িতে থাকার একঘেঁয়েমি কাটাতে আর অঢেল সময়কে কাজে লাগাতে এই কাজগুলিও আমরা শিখে ফেলতে পারি। তাতে পরিবারের লোকজনের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও সহমর্মিতাও প্রকাশ করা যাবে।
আরও পড়ুন: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দিলে ‘ফল’ ভুগতে হবে, ভারতকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: খুব বিপদে পড়া দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানো হবে: বিদেশমন্ত্রক
সন্তানরা ঠিক ভাবে পড়াশোনা করছে নাকি ফাঁকি দিচ্ছে, অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এত দিন তার উপর হয়তো আমাদের কেউ কেউ নজর রাখার প্রয়োজনই মনে করতেন না। লকডাউনের সুবাদে হাতে অঢেল সময় এসে যাওয়ায় এ বার আমরা সে দিকে খুব ভাল ভাবে নজর দেওয়া শুরু করতে পারি। এটা পরে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হলে তো আরও ভাল হয়।
শুধুই পড়াশোনার জন্য নয়, সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা, গল্পগুজব, আড্ডায় সময় কাটানোর দরকার তাদের মানসিক ভাবে সুস্থ রাখার জন্যও। এই সুযোগটা হয়তো আমাদের কেউ কেউ পান না অন্যান্য সময়ে। এ বার লকডাউনে আমরা গৃহবন্দি থেকে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে পারি।
সন্তান ও বাড়ির প্রবীণদের সঙ্গে এক সঙ্গে ড্রয়িং রুমে বসে টেলিভিশনে কোনও ভাল সিরিয়াল বা সিনেমা দেখতে পারি। কোনও ভাল বই নিয়ে আলোচনা করতে পারি অনেকটা সময় নিয়ে। পুরনো দিনের ভাল ভাল গান শুনতে পারি বা পুরনো দেশি, বিদেশি সিনেমাগুলি দেখতে পারি।
রোজকার জীবনের তুমুল ব্যস্ততায় বাড়ির প্রবীণরা অনেক সময়েই নিজেদের উপেক্ষিত মনে করেন। এটাই সেই সময়, যখন আমরা তাঁদের বোঝাতে পারি, আমাদের কাছে তাঁদের গুরুত্ব কতটা।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।