কাজটি মলত্যাগের হলেও, চাকরি পেতে হল আগে দিতে হবে পরীক্ষা। প্রতীকী ছবি।
বার্ষিক বেতন ১ লক্ষ ৮০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকা। কাজ বলতে শুধুই প্রতি দিন নিয়ম করে মলত্যাগ করতে হবে। শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত মলত্যাগ করা জরুরি। কিন্তু এই ত্যাগের সূত্র ধরেই খুলে যাবে উপরি আয়ের পথ। এমন পেশার কথা শুনে অবাক হবেন যে কেউ। মলত্যাগ করেও যে কোটিপতি হওয়া যায়, এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না প্রকাশিত হলে তা বোধ হয় অজানাই থেকে যেত। সম্প্রতি আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা ‘হিউম্যান মাইক্রোবস’ এই কাজের জন্য কর্মী খুঁজছে। তবে কাজটি মলত্যাগের হলেও, চাকরি পেতে হল আগে দিতে হবে পরীক্ষা।
আবেদনকারীদের প্রথমে একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করতে হবে। তার পর সেখান থেকে বাছাই করা হবে কয়েক জনকে। পরবর্তী ধাপে একটি ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। সেখানে যাঁরা মনোনীত হবেন, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদেরকেই নিয়োগ করা হবে। প্রতি বার মলদান করে পাঁচশো ডলার পাওয়া যাবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা একচল্লিশ হাজার টাকারও বেশি। আমেরিকা ও কানাডার মানুষরা মলদান করতে পারেন।
কিন্তু ওই সংস্থা কেন মল সংগ্রহ করে? সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এখন বহু মানুষই পেটের সমস্যায় ভুগছেন। পেটে যে উপকারী অণুজীবগুলি থাকে, সেগুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ। পেটে থাকা অনুজীবগুলি খাদ্যনালিতে যে বিশেষ পরিবেশ তৈরি করে, তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘গাট মাইক্রোবায়োম’। সেই পরিবেশ কী ভাবে ভাল রাখা যায়, তা জানতে নিয়মিত মল থেকে পাওয়া অণুজীব নিয়ে পরীক্ষা চালায় সংস্থাটি। সে জন্যই মল দরকার হয় তাদের। তবে চাইলেই যে কেউ সেখানে মলদান করতে পারেন না। রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয় তার জন্য। প্রার্থীদের মলের নমুনাও আগেই পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকরা। তার পরই নেওয়া হয় মল।