আন্না দুরাই। ছবি: সংগৃহীত
গ্রাহকের মন বোঝা অত সহজ নয়। দেশের বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিও গ্রাহক কিসে খুশি হবেন, তা বুঝতে হিমসিম খায়। সেখানে চেন্নাইয়ের এক অটো চালক অনায়াসে বুদ্ধি খাটিয়ে সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। নাম আন্না দুরাই। বয়স ৩৮। পড়াশোনার দৌড় খুব বেশি দূর নয়। দ্বাদশ উত্তীর্ণ হননি। তবে তাতে কোনও সমস্যা নেই। অটোর যাত্রীদের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে অনর্গল কথা বলে যেতে পারেন।
চেন্নাইয়ের মহাবলীপুরম রোডে অটো চালান আন্না। অটোতে বসার জায়গা ছ’জনের। রাস্তায় বেরোলেই আন্নার অটোতে ওঠার সুযোগ কিন্তু পাওয়া যাবে না। ‘আন্না অটো’র যাত্রী হতে চাইলে ওলা, উবেরের মতো আগে থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুকিং করতে হয়। অনেকেই মনে করছেন, এই ‘আন্না অটো’র দৌলতে কিছুটা হলেও কমতে পারে ওলা, উবেরের জনপ্রিয়তা।
এই অটোতে উঠলে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি মিলবে অতিরিক্ত পরিষেবা। যাত্রীদের জন্য খবরের কাগজ, দেশি-বিদেশি পত্রিকা, ওয়াইফাই, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ছোট টেলিভিশন, এমনকি যাত্রীদের জন্য চিপ্স, কফি, জলের ব্যবস্থাও থাকে আন্নার অটোতে। এই বাড়তি পরিষেবার জন্য যাত্রীদের বাড়তি কোনও অর্থ প্রদান করতে হয় না। অটোতে তেমন কোনও চাকচিক্যের ছাপ নেই। মূলত পকেটবান্ধব আর দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর মাধ্যম হিসাবেই এর জনপ্রিয়তা। আর এই বাড়তি পরিষেবার কারণও যাত্রীরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন, সেই ভেবেই।
প্রতি দিন অন্তত ১০০ যাত্রীকে পরিষেবা দেন আন্না। মাসে গড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে আয় হয় তাঁর। প্রথমে একা শুরু করলেও বর্তমানে ৫ জন সহযোগীও আছে আন্নার। চেন্নাইয়ের ওই রুটের অন্য অটোচালকরাও চাইলে এই ব্যবসায় যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন ‘আন্না অটো’-র মালিক।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ