আগামী ১৮ জুন ১০০ বছরে পা দেবেন হীরাবেন মোদী। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ১৮ জুন ১০০ বছরে পা দেবেন হীরাবেন মোদী। শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বার করে মায়ের শততম জন্মদিনে উদ্যাপনে নিজের বাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হীরাবেন মোদীর শতবর্ষের জন্মদিন বেশ জাঁকজমক করে উদ্যাপন করার পরিকল্পনাও করেছে মোদী পরিবার। গাঁধীনগরে রাইসান গ্রামে ছোট ছেলে পঙ্কজের সঙ্গে থাকেন হীরাবেন। তাঁর ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে গ্রাম জুড়ে যেন উৎসবের আবহ। জন্মদিনের দিন চণ্ডীযজ্ঞ করা হবে। পাশাপাশি বড়নগরে হটকেশ্বর মন্দিরে বিশেষ সঙ্গীত সন্ধ্যারও আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, অনুরাধা পড়ওয়াল-সহ বিভিন্ন নামী শিল্পী অংশ নেবেন সেই অনুষ্ঠানে। হীরাবেনের শারীরিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে, তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কি না।
বয়সের ভারে কিছুটা ন্যুব্জ হয়ে পড়লেও হীরাবেন মোদী কিন্তু যথেষ্ট ফিট। ইদানীং ৪০ পেরোতে না পেরোতেই বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছর। ৬০ পেরিয়েও সুস্থ জীবনযাপন করতে একটা বয়সের পর থেকে প্রাত্যহিক জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। ১০০ বছরে পা দেওয়া হীরাবেন কিন্তু রোজকার জীবনে যথেষ্ট শৃঙ্খলা মেনে চলেন। নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা বদল করা থেকে নিজে বুথে পৌঁছে ভোট দেওয়া— বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হীরাবেন মোদী সবই সম্ভব করেন।
প্রতি দিন না হলেও সুযোগ পেলেই তিনি শরীরচর্চা, যোগাভ্যাস করে থাকেন। নিরামিষ খান। প্রধানমন্ত্রী বড় ছেলে দেখা করতে এলে নিজের হাতে রান্নাও করে খাওয়ান। একেবারে পরিমিত সাত্ত্বিক আহার করেন নিজেও। একটি রুটি, অল্প সব্জি, ডাল, একেবারে অল্প পরিমাণে ভাত— এই তাঁর নিত্যদিনের খাবার।
১০০ বছরের হীরাবেন মোদী যে শুধু শারীরিক ভাবে ফিট তা নয়, মানসিক ভাবেও তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চেতা। কোনও কোনও বিষয়ে পরামর্শ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে মায়ের কাছে ছুটে যেতেও দেখা গিয়েছে। হীরাবেনও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছেলেকে বুদ্ধি দিয়েছেন। সুখ-বিলাসিতা থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রীর জননী।