প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বিভিন্ন ভাবে সচেতন করে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের দিকে নজর দেওয়ার জন্য। খাদ্যাভ্যাসই বলে দেয় আমাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের হাল কেমন থাকবে, এমনই বক্তব্য ‘হু’-এর বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া বলতে কী বোঝায়? পরিবারের সকলকে কি একই রকম খাবার খেতে হবে? কোন দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি?
পরিবারের শিশু থেকে বয়স্ক, সকলকে সুস্থ রাখতে চাইলে কয়েকটি অভ্যাসে বিশেষ ভাবে বদল আনা জরুরি। নেটমাধ্যমে বাহারি খাবারের ছবি দেখে বয়ে গেলে চলবে না। পরিবারের সাধারণ পুষ্টির দিকে জোর দেওয়া অভ্যাস করতে হবে। যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ে আর সকলের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোন কোন অভ্যাস এর জন্য জরুরি?
১) কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে হবে। ভাত, রুটি দিয়ে পছন্দসই বাহারি রান্না খেতে অধিকাংশ বাঙালিই পছন্দ করেন। কিন্তু তেমন করলে চলবে না। কতটা ভাত বা রুটি খাচ্ছেন, তা আদৌ আপনার শরীরের জন্য জরুরি কি না, জেনে নিন। তার পরিবর্তে ডাল, ফল, সব্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
প্রতীকী ছবি।
২) প্রোটিন ছাড়া কাজের শক্তি পাওয়া কঠিন। তাই মাছ, ডিম, মাংসের পরিমাণে জোর দিন। যে সব বাড়িতে নিরামিষ খাওয়া হয়, সেখানেও দুধ, দই, ছানা নিয়ম করে রোজের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। অনেক বাড়িতেই সে ভাবে কোনও খাদ্যের গুণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয় না। কিন্তু পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখতে গেলে তা করা অতি জরুরি।
৩) রাতে রুটির পরে একটু মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকে বহু বাঙালি বাড়িতে। এই অভ্যাস অবশ্যই বদলানো জরুরি। মিষ্টি খাওয়ার মাত্রা কমাতে হবেই। না হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে পরিবারে। তারই সঙ্গে ফ্রিজে চকোলেট, আইসক্রিম, বোতলবন্দি ঠান্ডা পানীয় রাখাও বন্ধ করতে হবে।