রোগীর প্রাণ বাঁচাতে অস্থমজ্জা দান চিকিৎসকের। ছবি: সংগৃহীত।
চিকিৎসকেরা অনেকের কাছেই ভগবানের সমান। সম্প্রতি ফ্লোরিডার এক চিকিৎসকের কীর্তি মন ছুঁয়েছে সকলের। ফ্লোরিডার হৃদ্রোগ চিকিৎসক আলি আলসামারা এক শিশুকে অস্থিমজ্জা দান করেন। সমাজমাধ্যমে তাঁর এই কাজ ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে। চিকিৎকের কাছে হঠাৎই ফোন আসে যে এক শিশুর অস্থিমজ্জার প্রয়োজন। এই খবর শুনেই চিকিৎসক নিজের অস্থিমজ্জার পরীক্ষা করাতে শুরু করেন। পরীক্ষায় জানা যায়, চিকিৎসকের অস্থিমজ্জার সঙ্গে শিশুটির অস্থিমজ্জার মিল হয়েছে, তাই চিকিৎসক চাইলেই প্রাণ বাঁচতে পারেন শিশুটির।
ভাবনাচিন্তার জন্য সময় অপচয় না করেই তিন বছর বয়সি শিশুটিকে অস্থিমজ্জা দানের সিদ্ধান্ত নেন আলি। শিশুটি লিউকিমিয়ায় আক্রান্ত ছিল। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন না হলে প্রাণে বাঁচত না সে। অস্থিমজ্জা দানের পর চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমার এই কাজ দেখার পর যদি অস্থিমজ্জা দাতাদের সংখ্যা সামান্যও বাড়ে, তাতেই আমি সফল। অনেক শিশুই অস্থিমজ্জার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছে। আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস অনেকেরই প্রাণ বাঁচাতে পারে। মানুষকে এই জীবনদায়ী থেরাপিগুলির বিষয় আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে।’’
গুডনিউজ় মুভমেন্ট নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘটনাটি ভাগ করা হয়েছে। অনেকে লিখেছেন, “এই চিকিৎসক সত্যিই এক জন ‘হিরো’।”
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের পর চিকিৎসক এখন হাসপাতালে কড়া নজরদারিতে রয়েছেন। আলি বলেন, ‘‘আমি এখন ভাল আছি। আমার পিঠের পিছনের দিকে একটু ফোলা ভাব আছে। এই কাজটা করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। আশা করছি আমার এই প্রচেষ্টা শিশুটির প্রাণ বাঁচাতে পারবে।’’