অষ্টমীতে বেগুন ভাজা নয়, লুচির সঙ্গে চেখে দেখুন কোরমা। ছবি: কুকিং চ্যানেল বিডি।
পুজোর চারটি দিন অনেক গেরস্তবাড়িতেই নিরামিষ খাওয়ার চল রয়েছে। আমিষ হলে তা-ও নানা রকম পদ রান্না করা যায়। কিন্তু চার দিন তিন বেলা নিরামিষ কী কী পদ রান্না করবেন, তা ভাবতে গিয়েই নাজেহাল অবস্থা হয়। তবে অষ্টমীতে অঞ্জলিতে দিয়ে লুচি, ছোলার ডাল তো হবেই। সঙ্গে বেগুনভাজাও চাই। কিন্তু সাবেকি খাবার চেখে দেখার সাধ যদি থাকে, বেগুন ভাজার বদলে রেঁধে ফেলতেই পারেন ঠাকুরবাড়ির বিখ্যাত পদ বেগুনের কোরমা। রইল রেসিপি।
উপকরণ:
বেগুন: ৩টি
টক দই: ২ কাপ
টোম্যাটো কুচি: ১ কাপ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
চিনি: ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গোটা গরম মশলা: ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ১টি
শাহ জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: আধ চা চামচ
আদা বাটা: আধ চা চামচ
জয়িত্রী: এক চিমটে
হিং: এক চিমটে
ঘি: ১ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: আধ কাপ
প্রণালী:
১) প্রথমে কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করতে দিন।
২) সামান্য নুন এবং এক চিমটে হলুদ দিয়ে লম্বা করে কেটে রাখা বেগুন ভেজে তুলে রাখুন।
৩) ছোট একটি পাত্রে সামান্য হিং জল দিয়ে গুলে রাখুন।
৪) পাথরের হামানদিস্তে কিংবা শিলে গোটা গরম মশলা হালকা করে পিষে নিন।
৫) বেগুন ভাজার পর কড়াইতে যে সর্ষের তেল রয়েছে, তার মধ্যেই ফোড়ন হিসাবে দিন তেজপাতা এবং পিষে রাখা গরম মশলা।
৬) হালকা রং ধরলেই হিঙের মিশ্রণ দিয়ে দিন।
৭) এর পর টোম্যাটো কুচি, সব গুঁড়ো মশলা এবং আদা বাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
৮) মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে দই ফেটিয়ে কড়াইতে দিয়ে দিন।
৯) খেয়াল রাখবেন যেন মশলা কড়াইয়ের তলায় লেগে না যায়। দই থেকে তেল ছেড়ে এলে কড়াইতে দিন নুন এবং চিনি।
১০) ফুটে উঠলে এর মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা বেগুনগুলি দিয়ে দিন।
১১) মিনিট দুয়েকের মধ্যেই ঝোল ঘন হয়ে যাবে। তখন উপর থেকে ঘি, জয়িত্রী এবং শাহ্ জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।