ছবি: সংগৃহীত।
স্পর্শকাতর ত্বকে যা-ই মাখেন, হয় র্যাশ বেরোয়, নয়তো জ্বালা করে। আবার একেবারে কিছু না মাখলেও নয়। পুজো উপলক্ষে কিছু দিন আগেই খরচ করে একগাদা প্রসাধনী কিনেছেন। নতুন নতুন প্রসাধনী ব্যবহার করা এক রকম শখের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু পুজোর মাত্র ক’দিন বাকি। তার আগে এই সব নতুন প্রসাধনী মেখে যদি হিতে বিপরীত হয়, তাই হঠাৎ মাথায় এল শিশুদের জন্য বিশেষ প্রসাধনীগুলি ব্যবহার করার কথা। কারণ, শিশুদের জন্য তৈরি এই বিশেষ প্রসাধনীগুলি সব দিক থেকেই সুরক্ষিত। তাই ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হওয়ার ভয়ও নেই। যা যা কিনেছেন, সে সব পুজোর পরে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু যা ভেবে বাচ্চাদের প্রসাধনী ব্যবহার করতে চাইছেন, তাতে আদৌ ফল মিলবে তো?
চিকিৎসকদের মতে, শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ প্রসাধনীগুলি ভাল হলেও তা বড়দের ত্বকের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। ত্বকের জন্য নতুন কোনও প্রসাধনীই ভালর বদলে উল্টো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তখন র্যাশ, ব্রণ, বা ত্বকের লালচে ভাব, প্রদাহ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এই সমস্যাগুলি হওয়ার কারণ প্রসাধনীর গঠনগত পার্থক্য। শিশুদের ত্বকে সেবাম, ঘাম, মেলানিনের পরিমাণ পূর্ণবয়স্ক মানুষদের তুলনায় অনেক কম। সে ক্ষেত্রে শিশুদের সাবান বা শ্যাম্পু কোনও যুক্তিতেই বড়দের ত্বকে কাজ করতে পারে না। তা ছাড়া শিশুদের জন্য তৈরি এই বিশেষ প্রসাধনীগুলি সাধারণত ময়েশ্চারাইজার বেসড্ এবং অতিরিক্ত তেলযুক্ত। তাই ব্রণর সমস্যা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ছাড়াও শিশুরা বাইরে দূষণে বা রোদে বেরোয় না। তাদের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ারও তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই বড়দের এই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। বদলে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আলাদা প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন।