তরুণীর বাহু থেকে টিস্যু নিয়ে জিভ তৈরি করে ফের অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। প্রতীকী ছবি।
ক্যানসারের চিকিৎসার সময় কেমোর কারণে চুল উঠে যায়, তখন অনেক ক্যানসার রোগীই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন। এই রোগের কারণে শরীরের অঙ্গও কেটে বাদ দিতে হয়। ক্যানসারের চিকি়ৎসা করাতে গিয়ে কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক তরুণীর। ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়ের চিকিৎসার সময় অস্ত্রোপচারের কারণে জিভের ৯০ শতাংশ বাদ গিয়েছিল ইংল্যান্ডের এক তরুণীর।
৩৭ বছর বয়সি জেমা উইকস জানিয়েছিলেন, ছ’বছর ধরে তাঁর জিভে এক ধরনের অস্বস্তি হচ্ছিল। জিভের উপরে সাদা ক্ষত দেখে তাঁর সন্দেহ হলেও তিনি সেই সময় বিশেষ পাত্তা দেননি। তবে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জিভে গর্ত দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তীব্র যন্ত্রণায় খাওয়াদাওয়াও মাথায় ওঠে তাঁর।
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর জিভে ও গলায় ক্যানসার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে জিভের একাংশ কেটে বাদ দিতে হবে। চিকিৎসকরা জানান, এর পর তিনি আর কখনও কথা বলতে পারবেন না। অস্ত্রোপচারের পর পর কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন তরুণী। তবে চিকিৎসকদের চেষ্টায় আবার কথা বলতে পারলেন তিনি। তরুণীর বাহু থেকে টিস্যু নিয়ে জিভ তৈরি করে ফের অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। সেই অস্ত্রোপচারের পরেও তরুণীকে কোনও কথা বলতে না দেখে চিকিৎসকরা ভাবেন, হয়তো তাঁকে বাকি জীবনটা কথা না বলেই কাটাতে হবে। তবে মেয়ে ও বরকে দেখে আবার কথা ফুটল তাঁর মুখে। এক সাক্ষাৎকারে জেমা বলেন, ‘‘আমি নিজেই আমার স্বর চিনতে পারি না। তবে ধীরে ধীরে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। অস্ত্রোপচারের পর পর লোকে আমার কথা বুঝত না, তবে এখন লোকে আমার কথা বুঝতে পারে।’’