সম্প্রতি কঙ্গো ও জিম্বাবুয়ের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে নিদান দেয় পোকা-মাকড় খাওয়ার। ছবি- সংগৃহীত
ব্রিটেন থেকে সাহায্য পাঠানো হয় বিভিন্ন কমনওয়েলথভুক্ত দেশে। যে সংগঠনগুলির মাধ্যমে এই কাজ হয়, তারই একটি সম্প্রতি কঙ্গো ও জিম্বাবুয়ের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষকে নিদান দেয় পোকা-মাকড় খাওয়ার। এ খবর ফাঁস হতেই শুরু হয়েছে হইচই। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টের দাবি, সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কীটপতঙ্গ চাষ করতে জল কম লাগে। তাই প্রোটিনের একটি সহজলভ্য উৎস হতে পারে সেগুলি।
আফ্রিকার শুঁয়োপোকা, পঙ্গপাল ও সোলজার মাছি খাওয়ার বহু উপকার আছে, কাগজ-কলমে দাবি করা হয়েছে এমনই। আর তাই কঙ্গোয় এমনই সব পোকা-মাকড় চাষ করার জন্য শুরু হতে চলেছে একটি প্রকল্প। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা।
আফ্রিকায় প্রায় ২৫০ ধরনের পোকা-মাকড় খাওয়ার রেওয়াজ আছে। কঙ্গোর কিভু নামের একটি জায়গায় প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা। সেখানে ২৩ রকম পোকা খাওয়ার চল আছে। তবে চরম খাদ্যাভাব ও অর্থকষ্টও এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের পিছনে একটি বড় কারণ। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব বলছে, বর্তমানে আফ্রিকার ওই অঞ্চলে দু’কোটিরও বেশি মানুষ অনাহারের শিকার। তাই এই পরিস্থিতিতে পোকা খাওয়ার পরামর্শ নিচু মানসিকতার পরিচয় বলেই মনে করছেন কিছু মানুষ।
কীটপতঙ্গ চাষ করতে জল কম লাগে। ছবি- সংগৃহীত
ব্রিটেনের ‘ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস’-এর তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে প্রকল্পটি। প্রকল্পের লক্ষ্য, ‘কী ভাবে মানুষের খাবার হিসাবে ও পশুখাদ্য প্রস্তুত করার জন্য কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যায়’। বলা হয়েছে, ‘ক্যাথলিক এজেন্সি ফর ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি সংস্থার নেতৃত্বে চলবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ। গোটা বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতেই সংস্থার সাফাই, ভুল বোঝা হচ্ছে। তারা মোটেই মানুষকে কীটপতঙ্গ খেতে উৎসাহ দিচ্ছে না। এটি একেবারেই স্থানীয় একটি প্রকল্প। মাছের খাবার হিসাবে কীটপতঙ্গের চাষ করা হয়, যাতে তাতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে সংগঠন।