অভিনয় ক্ষমতার পাশাপাশি কিয়ারার ঝকঝকে মেদহীন চেহারাও নজর কেড়েছে সকলের। ছবি- সংগৃহীত
আলিয়া আডবাণী। বছর আটেক আগে এই নামেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দু’চোখে নিয়ে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন এক তরুণী। তত দিনে অবশ্য তারকা হিসাবে জন্ম হয়ে গিয়েছে আরেক আলিয়ার। অগত্যা শুরু হয় নাম বদলানোর তোড়জোড়। সূত্রের খবর, সলমন খান নাকি স্বয়ং সেই মেয়ের নতুন নামকরণ করেন। কিয়ারা আডবাণী।
বলিউডে কিয়ারার আত্মপ্রকাশ ২০১৮ সালে, ‘ফুগলী’ ছবিতে। এর পর ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’- সাক্ষীর ভূমিকায় দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। এই ছবির পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কিয়ারাকে। বলিউডে নিজের জমি প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই। ‘কবীর সিংহ’, ‘শেরশাহ’, ‘যুগ যুগ জিও’-র মতো সিনেমায় করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন, প্রেম নিয়ে এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রে রয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় ক্ষমতার পাশাপাশি কিয়ারার ঝকঝকে মেদহীন চেহারাও নজর কেড়েছে সকলের। কিয়ারা যে ফিট, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু কী ভাবে নিজেকে ফিট রাখেন, কেমন তাঁর রোজের ডায়েট, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অভিনেত্রীর ৩১ বছরের জন্মদিনে রইল তাঁর সুস্থ-সবল থাকার রোজনামচা।
অভিনেত্রীর ৩১ বছরের জন্মদিনে রইল তাঁর সুস্থ-সবল থাকার রোজনামচা।
কিয়ারা সকাল শুরু করেন ঈষদুষ্ণ লেবুর জল খেয়ে। এতে শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ অর্থাৎ টক্সিন সহজেই বাইরে বেরিয়ে যায়। সকালের জলখাবারে খান ওটস। সঙ্গে থাকে আপেল, কলা, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির মতো কিছু মরসুমি ফল। বাড়িতে থাকলে প্রাতরাশের পর কিছু ক্ষণ ‘একা’ সময় কাটান তিনি। বেলা বাড়লে শরীরচর্চায় মন দেন অভিনেত্রী। তার আগে ‘প্রি ওয়ার্ক-আউট মিল’ হিসাবে এক টুকরো আপেলে পিনাট বাটার মাখিয়ে খান তিনি।
কিয়ারা এমনিতে খুব কম খান। শ্যুটিং না থাকলে বাড়িতে তৈরি রুটি, ডাল, সব্জি, পনির থাকে তাঁর পাতে। চিনির স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছেন। তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে মাঝেমাঝে কামড় বসান ডার্ক চকোলেটে। দুপুরে নিরামিষ রাতে চেষ্টা করেন মাছ বা মাংস খাওয়ার। মাছ খেতেই বেশি ভালবাসেন। তাই বেশির ভাগ দিন কিয়ারার রাতের খাবারে থাকে বিভিন্ন ধরনের মাছ। বেকড কিংবা গ্রিলড হিসাবে।
বলিপাড়ার অন্যতম ফিট অভিনেত্রী তিনি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে ভোলেন না। পুল আপ, পুশ আপ, কার্ডিও, স্কোয়াট, ওজন তোলার মতো কিছু নির্দিষ্ট কসরত তাঁর ফিটনেসে রুটিনে থাকে। অভিনেত্রীর একটাই মন্ত্র— ফিট থাকা।