জাহ্নবী এমনিতে খাদ্যরসিক। ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার কন্যেদের মধ্যে অনায়াসে যাঁদের ‘সুপার ফিট’ বলা যায়, সেই তালিকায় জাহ্নবী কপূরের নাম জ্বলজ্বল করে। হাতে কাজ থাক কিংবা না থাক, জাহ্নবী নিজেকে শরীরচর্চায় মগ্ন রাখেন। এক অনুষ্ঠানে এসে বনি কপূর মেয়ের এই শরীরচর্চার প্রতি প্রেম নিয়ে মুখ খোলেন। বনি জানান, এক বার জিমে গেলে জাহ্নবী বাড়ি আসতে চান না। ফোনও বন্ধ করে রাখেন। এক বার এমন হয়েছিল, সকালে জিমে গিয়েছেন। জাহ্নবী যখন বাড়ি ফিরেছেন ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা হব হব করছে।
শুধু শরীরচর্চা নয়, জাহ্নবী কড়া ডায়েটও করেন। কিন্তু সপ্তাহে এক দিন তিনি কোনও ডায়েট মানেন না। ওই দিন সকাল থেকে পছন্দের খাবার দিয়ে শুরু করেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বাইরের খাবার খান তিনি। জাহ্নবী এমনিতে খাদ্যরসিক। খেতে খুব ভালবাসেন। কিন্তু পেশার তাগিদে ইচ্ছা করলেও পছন্দের খাবার খেতে পারেন না। সপ্তাহের অন্য দিন যে মেয়ের পাতে চিয়াবীজ, টক দই আর ওটস থাকে, সপ্তাহান্তে সে মেয়েরই খাবারের থালা দেখলে অবাক হতে হয়।
চিটমিল নিয়ে যে এত চর্চা হবে, তা বুঝতে পারেননি নায়িকা। ছবি: সংগৃহীত।
আইসক্রিম, চকোলেট, জিলিপি, শিঙাড়া, কচুরি, ব্রাউনি, কাস্টার্ড— জাহ্নবীর চিটমিলে থাকে এই খাবারগুলিই। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের পাতায় ডায়েট থেকে ছুটি নিয়ে কী কী খাবারের স্বাদ নেন তিনি, সে কথা নিজেই জানিয়েছেন নায়িকা। খাবারের এই তালিকা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনুরাগীদের। জাহ্নবীর চেহারার সঙ্গে এই খাদ্যতালিকার কিছুতেই মিল খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। অনেকেরই মনে হয়েছে, তিনি যে ডায়েট করেন না, তা বোঝাতেই এই ছবিগুলি দিয়েছেন নায়িকা। আবার কেউ মজা করে লিখেছেন, ‘‘এত খেয়েও কী করে এমন রোগা থাকা যায়, তা জাহ্নবীর থেকে শেখা উচিত।’’
তাঁর চিটমিল নিয়ে যে এত চর্চা হবে, তা বুঝতে পারেননি নায়িকা। তাই শেষ পর্যন্ত মাঠে নামেন নিজে। জাহ্নবী জানান, সপ্তাহে এক দিন সব কিছুই খান তিনি। তবে একেবারে অল্প পরিমাণে। জাহ্নবী আরও জানান, সব কিছু খেয়েও রোগা থাকা যায়। পরিমাণে অল্প খেতে হবে।